প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের সৌজন্যে রেশনের সামগ্রী থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে চুপিসাড়ে তা পাচারের চেষ্টা চলছিল রাতারাতি! শেষমুহূর্তে আটক করা হল রেশন বোঝাই ১৬ চাকার লড়ি! ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার গোঘাট-২ (Goghat) ব্লকের খাটুল এলাকায়। এদিকে সরকারি সুবিধা থেকে এই ভাবে বঞ্চিত করার কারণে উত্তপ্ত এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশ প্রশাসন।
রাতের অন্ধকারে রেশন পাচার গোঘাটে!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার, রাতের অন্ধকারে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে হুগলি জেলার গোঘাট-২ নম্বর ব্লকের খাটুল এলাকায় একটি রেশন দোকান থেকে বস্তা বস্তা চাল, আটা এবং চিনি সহ নানা একাধিক রেশন সামগ্রী ১৬ চাকার লড়িতে রাখা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়দের তরফে খবর দেওয়া হয় গোঘাট থানায়। গাড়িতে যখন মালগুলি লোড করা হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় পুলিশ চলে আসায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সকলে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে থেকে পালায় রেশন ডিলার সহ বেশ কয়েকজন লেবার। অভিযোগ এই বস্তা বস্তা রেশন পাঠানো হচ্ছে ভিনরাজ্য বিহারে।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস ধরেই নাকি গোঘাট-২ নম্বর ব্লকের খাটুল এলাকায় এই রেশন দোকানে বস্তা বস্তা রেশন সামগ্রী এইভাবেই বিক্রি করে আসছে রেশন ডিলার। সেই কারণে রেশন নিতে গেলেই গ্রাহকদের অনেক কম সামগ্রী দেওয়া হয়। এবার সেই কালোবাজারির তথ্য ফাঁস হতেই রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামবাসী। রেশন ডিলারের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে মহিলা সদস্যরা তর্কাতর্কি জুড়ে দেয়, যার ফলে তদন্তে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি পুলিশের তরফে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষকে রেশন সংক্রান্ত জরুরি কাগজ দেখানোর কথা বলা হলে, তিনি কিছুতেই সেই কাগজ দেখাতে চায়নি।
আরও পড়ুন: ব্যান্ডেলে তৃণমূলের কার্যালয়ে গাঁজার আসর! দেখেই তালা ঝোলালেন বিধায়ক অসিত মজুমদার
খাদ্যদপ্তর তরফে জানানো হয়েছে, ওই রেশন ডিলারের স্টকে গরমিল পাওয়া গিয়েছে। আরামবাগের মহকুমা খাদ্য নিয়মক জানিয়েছেন, ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে খুব শীঘ্রই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।