সহেলি মিত্র, কলকাতা: হরিদেবপুরের ২০ বছর বয়সী এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের (Haridevpur Rape Case) অভিযোগ ঘিরে সরগরম বাংলা। এদিকে সম্প্রতি এনসিআরবি রিপোর্টে কলকাতা ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ মেট্রো শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে। তারপরেও খাস কলকাতায় ছাত্রীর সঙ্গে নিগ্রহের ঘটনা যেন আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আদৌ মেয়েরা আর সুরক্ষিত তো? যাইহোক, এবার এই হরিদেবপুরের ঘটনার বিরাট আপডেট সামনে এল। এই ‘গণধর্ষণ’-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত চন্দন মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
হরিদেবপুর ‘গণধর্ষণ’-কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত!
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম চন্দন মালিক। তাঁকে বর্ধমান স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে খবর। দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে তার দুই বন্ধু বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার রাতে হরিদেবপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দন মালিক নামে একজন ব্যক্তি ওই মেয়েটিকে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। পরে, চন্দন এবং তার বন্ধু দেবাংশু বিশ্বাস তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে মালঞ্চে নিয়ে যায়, যেখানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর মেয়েটি বাড়ি ফিরে তার পরিবারকে ঘটনাটি জানালে, পরিবার তাকে অভিযোগ দায়ের করার জন্য থানায় নিয়ে যায়। ৫ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় ১০.৪৫ নাাগাদ অভিযুক্ত চন্দন মালিক নির্যাতিতাকে অন্য এক অভিযুক্ত দেবাংশু বিশ্বাস ওরফে দীপের বাড়িতে নিয়ে যায়। যা মালঞ্চের কাছে অবস্থিত। এরপর দুই অভিযুক্ত মিলে তরুণীকে মারধর করে এবং গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরের দিন সকাল প্রায় ১০.৩০ টায় নির্যাতিতা দীপের বাড়ি থেকে যেভাবে হোক পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
Main accused of Haridevpur PS area Rape case, Chandan Malik has been picked up from Burdwan Stn last night.While the other accused Debangshu remain absconded .
They had raped their friend on her birthday Party . pic.twitter.com/jsdQD3Hatj
— Syeda Shabana (@JournoShabana) September 10, 2025
তদন্ত শুরু পুলিশের
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ চন্দন মালিক এবং দেবাংশু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল চন্দন ও দেবাংশু। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বর্ধমান স্টেশনে হানা দেয় এবং চন্দনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের অনুমান সে পালাচ্ছিল।