চাকরিহারাদের জন্য সুখবর, এ মাসেই ২০০০ শিক্ষককে প্রাথমিকে নিয়োগ করবে SSC

SSC Case

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চাকরিহারা শিক্ষকদের মুখে হাসি ফিরল। 2016 সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ বাতিলকে (SSC Case) কেন্দ্র করে যে সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে প্রায় 2000 জন এ মাসে মধ্যেই তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় অর্থাৎ পুরনো কর্মস্থলে ফিরতে চলেছেন। ভাবছেন কীভাবে? বিশদে জানতে চোখ রাখুন লেখাটির উপর।

আদালতের রায়ে বিরাট স্বস্তি

সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়ে দিয়েছিল যে, যারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্য থেকেও চাকরি হারিয়েছেন এবং আগে প্রাথমিক কিংবা অন্য কোনও সরকারি দপ্তরে যুক্ত ছিলেন, তাদেরকে পুরনো পদে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই এবার স্কুল শিক্ষা কমিশনার বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই সময়ের রিপোর্ট মারফৎ খবর, দক্ষিণ 24 পরগনার 218 জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের 113 জন, কলকাতার 56 জন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের 38 জন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষক তাদের পুরনো চাকরিতে ফিরতে পারবেন। আর সব মিলিয়ে রাজ্যে 23 টি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অধীনে 89 জন শিক্ষক শিক্ষিকা পুজোর আগেই তাদের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বলে খবর।

কীভাবে শুরু হল এই প্রক্রিয়া?

শিক্ষা কমিশনারের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরবেলা ডিরেক্টরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে সমস্ত জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থাকেন। এরপর প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয় বিশদ তালিকা ও নির্দেশিকা। সেখানে উল্লেখ হয় যে, কোন মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ফিরেছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।

শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, যারা টেন্টেড নন এবং যারা আগে কোনও সরকারি কিংবা সাহায্য প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন, তাঁদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁরা খুব শীঘ্রই আবারও পুরোনো কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন।

নতুন প্রার্থীদের দুশ্চিন্তা

তবে এই সিদ্ধান্তে চিন্তায় পড়েছে নতুন চাকরি প্রার্থীরা। কারণ শিক্ষা দপ্তরে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল যে, রাজ্যের প্রায় 2215 টি স্কুলে শিক্ষক নেই অথবা মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন রয়েছেন। সেখানে প্রায় 2000 শিক্ষক একসঙ্গে থাকায় নতুনদের জন্য শূন্যপদ কিছুটা হলেও যে কমে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুনঃ ইলন মাস্ককে হটিয়ে বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি লারি এলিসন! কত সম্পত্তি তাঁর?

ওদিকে চাকরিহারা শিক্ষকদের এই সিদ্ধান্ত বিরাট স্বস্তি দিয়েছে তা বলাবাহুল্য। আদালতের নির্দেশ মেনে তাদের ন্যায্য অধিকার ফেরত দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছিল শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু নতুন চাকরিপ্রার্থীদের উদ্বেগ কাটাতে সরকারকে হয়তো আরো নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। এমনটাই মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ।

Leave a Comment