প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বর্তমান সময়ে যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রায় সকলেই এখন নগদের পরিবর্তে UPI এর ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে যেমন ভরপুর সুবিধা পাওয়া যায় ঠিক তেমনই আবার প্রতারণার শিকার হতে হয়। এমন অনেক ঘটনাও ঘটেছে যেখানে প্রতারণার জালে পরে খোয়া গিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এবার সেই একই ভয় পাচ্ছে বীরভূমের তারাপীঠের (Tarapith) ব্যবসায়ীরাও। তাই এবার UPI-এর মাধ্যমে লেনদেন নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।
প্রতারণার জালে ৩০০ জন ব্যবসায়ী
সাইবার প্রতারণা নিয়ে বারংবার সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ করা হলেও প্রতারকরা ঠিক অন্য উপায় প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের ক্ষতি করে চলেছে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে প্রতারণার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেই সেটি ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে। যার জেরে সমস্যায় পড়ছেন সকলে। ইতিমধ্যেই সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন তারাপীঠের প্রায় ৩০০ জন ব্যবসায়ী। সেখানকারই বাসিন্দা নন্দেশ্বর মন্ডল নামে এক মদ ব্যবসায়ী ও হোটেল ব্যবসায়ীর সাত থেকে আটটি ভিন রাজ্য থেকে সাইবার মামলা শুরু হয়েছে, এর ফলে সকলের মনে ভয় ঢুকে গিয়েছে, আর সেই কারণে এবার অনেকেই ডিজিটাল পেমেন্ট বন্ধ করে দিতে চলেছেন।
ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট!
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতারকরা ছক কষে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতারণা করে তারাপীঠে আসছেন। এরপর তাদের প্রতারণার টাকা দিয়ে UPI-এর মাধ্যমে QR কোড স্ক্যান করে কেনাকাটা করছেন অনর্গল। আর এর ফলেই বিপদ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। প্রতারণার টাকা ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট। তবে দুটো অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে আলাদা হচ্ছে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফ্রিজ হয়ে যায়, আর সেভিংস অ্যাকাউন্ট হলে গোটা অ্যাকাউন্টটাই ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ব্যাপক সমস্যা পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। তাই তাঁরা সমস্ত ধরণের ইউপিআই পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী, মুদিখানা, মাংসের দোকান, সবজি দোকান, মদের দোকান সকল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমায় মুক্তি দিন, সমাজের সামনে দাঁড়াতে দিন!’ চোখে কালো চশমা পরে হাজিরা পার্থর
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার তারাপীঠ পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম এক তীর্থক্ষেত্র। বাইরে থেকে অনেক দর্শনার্থী এবং পর্যটকরা এখানে আসেন। তাই সেক্ষেত্রে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে বীরভূম ব্যবসায়ীরা UPI সিস্টেম চালু করেছিল। কিন্তু প্রতারণার সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় তারা সমস্ত ধরণের ইউপিআই পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ এখন শুধুমাত্র নগদ এবং ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করবেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।