প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কলকাতার আনন্দপুরে (Anandapur) ফের দুষ্কৃতীরাজ! ভর সন্ধেবেলায় জনবহুল এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলল দুষ্কৃতীদের চোখ রাঙানি! অভিযোগ বাইকে চেপে একদল দুষ্কৃতী কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে ভাঙচুর করে কয়েকটি দোকান, বাইক, আর এই ঘটনা ঘটল আনন্দপুরের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে। পুরোনো দুষ্কৃতীরাজের আতঙ্ক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
Welcome to “City of Joy, No More”.
This is Gulshan Colony, 107 no ward , @AITCofficial councilor Sushanta Ghosh.@KolkataPolice as usual nowhere to be found.
Thanks to the greedy,power hungry, Urdu/Hindi walas Mafia Mother god @MamataOfficial pic.twitter.com/kCdRTv28re— thatguyepic999 (@thatguyepic999) September 12, 2025
আনন্দপুরে ফের অস্ত্র দৌরাত্ম্য
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, আনন্দপুরের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর সন্ধেবেলায় ৭ টা নাগাদ রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় বেশ চোখে দেখা গিয়েছিল, তারউপর পুজোর কেনাকাটাও ছিল। সেই সময় আচমকা সেখানকার গুলশান কলোনিতে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। অস্ত্র হাতে গুন্ডামি করতে সেখানকার অটো স্ট্যান্ড মোড়ে বাইক নিয়ে ঢুকে পড়ে একদল যুবককে। তারা বাইক, দোকান ভাঙচুর করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একসময় এই এলাকা মিনি ফিরোজের দখলে ছিল। তাই এলাকা পুনরায় দখল নিতেই কাল সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে হামলা চালায় মিনি ফিরোজ। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় মানুষের মনে ভয় ধরানো। ওদিকে কলকাতা পুলিস জানিয়েছে যে, এই ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে তাঁরা।
Acting on credible inputs, the Detective Department has arrested two suspects from the Entally PS area on 12.09.25. Both are suspected to be linked to the previous day’s incident in Gulshan Colony. One country-made firearm and two live cartridges were recovered from their… pic.twitter.com/lCeHzcv9sC
— Kolkata Police (@KolkataPolice) September 12, 2025
তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার
এর কয়েক মাস আগে, তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে আনন্দপুরের কসবার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান কলোনিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ও দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল। তোলা না পাওয়ায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বাইক, স্কুটার এবং পুরসভার ঠিকাদার সংস্থার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাঁদের হেফাজতে নিতে অপারগ ছিল পুলিশ। রীতিমত আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে আসছে এই শাসানি। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে যে কোনও বড় মাথা রয়েছে তা বিশ্বাস করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: তারাপীঠে UPI পেমেন্টে নিষেধাজ্ঞা! এখন লেনদেন করতে হবে নগদেই, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
প্রসঙ্গত, চলতি বছর মার্চ মাসে আনন্দপুরের নোনাডাঙা এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। তাঁদের থেকে মোট ১১ টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। ধৃতদেড় মধ্যে ছিলেন হুগলির কাজি মহল্লার বাসিন্দা আজিজ এবং বর্ধমানের কাটোয়ার কেতুগ্রামের বাসিন্দা ময়না । আজিজের ব্যাগ থেকে ১০টি ‘সিঙ্গল-শটার’ বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। এবং ময়নার কাছে ছিল একটি বন্দুক। যদিও সব অস্ত্রই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।