টেক অফের পরই চাকা খুলে পড়ল বিমানের, ফুল এমার্জেন্সি জারি মুম্বাই এয়ারপোর্টে

SpiceJet

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ দুপুরে মুম্বাই বিমানবন্দরে একটি স্পাইসজেট (SpiceJet) Q400 এর চাকা খুলে যাওয়া নিয়ে ঘটল তুমুল হইচই। টেক অফের কিছুক্ষণ পরেই বিমানের বাইরের একটি চাকা খুলে রানওয়েতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরে ফুল এমার্জেন্সি ঘোষণা হয়। তবে হ্যাঁ, সৌভাগ্যবশত বিমানটি কোনও বিপদ ছাড়াই নিরাপদে অবতরণ করে।

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

আজ কান্ডলা থেকে মুম্বাই আসার পথে ওই বিমানটির চাকার রানওয়েতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন বিষয়টিকে নজরে আসে সকলের। পাইলট বিমানটি উড়িয়ে নিয়ে আসে মুম্বাই পর্যন্ত। অবশেষে কোনও সমস্যা ছাড়াই বিমানটি মুম্বাইতে নামতে সক্ষম হয়। এরপর বিমানটি নিজস্ব শক্তিতে ট্যাক্সি করে টার্মিনালে আসে এবং যাত্রীরা নিরাপদেই নামেন।

স্পাইসজেটের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিমানটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিকভাবেই অবতরণ করেছে এবং যাত্রীরা নিরাপদে নেমেছেন। কোনও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত স্পাইসজেটের উপর এই ঘটনা আবারও নতুন করে চাপ বাড়াল। বর্তমানে ওই সংস্থার অর্ধেকের বেশি বিমান বসে রয়েছে। 54 টির মধ্যে মাত্র 21 টি বিমান পরিষেবা দিচ্ছে। আর দেশীয় বাজারে তাদের মার্কেটের শেয়ার 1.9%-এ নেমে এসেছে, যা ইতিহাসের সবথেকে কম।

এদিকে 2024 সালে সংস্থাটি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় 3000 কোটি টাকা তুলেছিল। আর সে সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, 2026 সালের মধ্যেই বিমানবহর বাড়িয়ে 100-তে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সরবরাহ সমস্যা, যন্ত্রাংশের সংকট এবং বকেয়া পাওনা না মেটার কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি।

অর্থনৈতিক চাপ এবং দৈনন্দিন সমস্যা

এদিকে জুন মাসের শেষে স্পাইসজেটের হাতে ফ্রী ক্যাশ ছিল মাত্র 333 কোটি টাকা। তার বেশিরভাগই কর এবং কর্মীদের PF মেটাতে খরচ হয়ে গিয়েছে। আর এই আর্থিক সংকটের প্রভাবে পড়েছে দৈনন্দিন কাজও। জুলাই মাসে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ফ্লাইট বাতিল এবং সবথেকে কম সময় মতো পরিষেবা দিয়েছে এই সংস্থা। এমনকি দিল্লি-মুম্বাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো রুটেও তাদের উপস্থিতি সেরকম চোখে পড়েনি।

আরও পড়ুনঃ এদের রেশন কার্ড বাতিল হবে, জানিয়ে দিল কেন্দ্র সরকার

তবে সবদিক থেকে হার মানেনি স্পাইসজেট। তারা দাবি করছে, বেশ কিছু লিজদাতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। কারো কারো ক্ষেত্রে ঋণকে ইকুইটিতে রূপান্তর করা হচ্ছে। সম্প্রতি ক্রেডিট সুইসকে 24 বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে এই সংস্থা, যা 2022 সালের মে মাসে হওয়া চুক্তির অংশ।

Leave a Comment