‘স্ত্রী, শ্বশুরকেও লেনদেনে জড়িয়েছেন জীবনকৃষ্ণ!’ ইডির বিরোধিতায় খারিজ জামিনের আবেদন

Jiban Krishna Saha

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) জন্য আজকের দিনটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি জামিনের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে শেষমেষ বিচারকের নির্দেশে সেই আশা সম্পূর্ণ ভঙ্গ হল। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।

আদালতে কড়া সওয়াল ইডি’র

TV9 বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, শুনানির শুরুতে ইডি জীবনকৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করেছিল। তাদের বক্তব্য, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনিই যথেষ্ট ক্ষমতাশালী। আর সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত কাজবাজ করে বেড়াতেন। এমনকি তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরের অ্যাকাউন্টেও সেই টাকা গিয়েছে। তাই যদি তাঁর জামিন দেওয়া হয়, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

অন্যদিকে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর সওয়াল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। তিনি দাবি করছিলেন, তাঁর মক্কেল কোনওভাবেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তদন্তেও সহযোগিতা করেছেন। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া উচিত। কিন্তু দুইপক্ষের যুক্তি খতিয়ে থেকে বিচারক ইডির দাবি মেনেই আবেদন খারিজ করে দেন।

প্রসঙ্গত, এই শুনানির দিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের আরেক নেতা হুমায়ুন কবীর। শুধুমাত্র হাজিরা নন, বরং পুরো শুনানি চলাকালীন তিনি আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, মানবিকতার খাতিরেই আমি এসেছি। জেলে তো কেউ আর ভালো থাকে না। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন, কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা, তাই খবর নিতে এসেছি।

যদিও রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে, দলের অনুমতি নিয়ে কি জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করেছিলেন হুমায়ুন? জবাবে তিনি বলেছেন, লকাপে কারও সঙ্গে দেখা করতে গেলে দলের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। এটা আমি প্রথম শুনলাম। আমি নিজেও বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে ৮২ দিন আটকা ছিলাম। তখন অনেক রাজনৈতিক সহকর্মী আমাকে দেখতে এসেছিলেন। আজ মনে হল তাঁর সাথে দেখা করার দরকার, তাই আমি এসেছি।

আরও পড়ুনঃ নভেম্বরের পরই উঠবে ট্রাম্পের চাপানো অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক, জানালেন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা

এখন জীবনকৃষ্ণের জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাঁর আইনজীবী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। অন্যদিকে ইডি’র তদন্ত আরও কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে বাড়ছে কৌতুহল। সব উত্তর সময় বলে দেবে।

Leave a Comment