বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: প্রযুক্তির দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) এর ব্যবহার জানতেই হবে। কর্মীদের জন্য খানিকটা এমনই নির্দেশিকা দিয়েছে বিশ্বের দুই প্রযুক্তি জায়ান্ট Google এবং Microsoft। সংস্থা দুটির পরিষ্কার বক্তব্য, চাকরি টিকিয়ে রাখতে গেলে AI এর ব্যবহার জানতেই হবে।
কর্মীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে AI এ দক্ষতার উপর
টাইমস অফ ইন্ডিয়া রিপোর্ট বলছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে Google এবং Microsoft। ইতিমধ্যেই Google এর সিইও সুন্দর পিচাই ও Microsoft এর ডেভলপার ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়া নিউসন যৌথভাবে জানিয়েছেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে কর্মীদের পারফরমেন্স রিভিউতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এর অর্থ একজন ব্যক্তি কতটা AI জানেন, তার উপর নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির ভবিষ্যৎ।
ঠিক কেন AI নিয়ে এত কড়াকড়ি?
বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে কোনও সংস্থাই চায়না নিজেদের পিছিয়ে রাখতে। ফলে, Google, Microsoft এমনকি Meta-র মতো সংস্থা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিশেষ নজর দিচ্ছে। এর কারণ একটাই, আজকের দুনিয়ায় AI না জানলে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা বাজার দখল করে নেবে। তাই সেই দুঃসময় যাতে না আসে সেজন্যই আগেভাগে প্রস্তুতি সেড়ে রাখছে সংস্থাগুলি।
জানা গিয়েছে, Google এর ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের কাছে একটি ইমেল গেছে। সেখানে নাকি বলা হয়েছে, কোডিং এর জন্য নিজস্ব AI টুল Cider ব্যবহার করতেই হবে। সেই সূত্রেই বর্তমানে Google এর 30 শতাংশেরও বেশি কোডিং AI এর উপর নির্ভরশীল।
অবশ্যই পড়ুন: ভারত ছেড়ে বিদেশে যাচ্ছেন অশ্বিন! খেলবেন জোড়া লিগে? অবসরের পর বড় পরিকল্পনা
উল্লেখ্য, শুধু Google বা Microsoft এর মতো হাতেগোনা কয়েকটা সংস্থাই নয়, ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ বৃদ্ধিতে নজর দিয়েছে GitHub, Amazon, Shopify এর মতো একাধিক সংস্থা। এ প্রসঙ্গে, GitHub এর প্রাক্তন সিইও টোমাস ডোমকে অবশ্য বলেছেন, যদি কেউ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তবে তাদের জন্য অন্য অনেক কোম্পানি রয়েছে।