মুদ্রাস্ফীতি ৬ বছরে সর্বনিম্ন হওয়ার জের, DA নিয়ে আসতে পারে খারাপ খবর!

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই ক্রমশ অষ্টম বেতন পে কমিশন এবং পরবর্তী ডিএ (DA) ঘোষণা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে অষ্টম বেতন পে কমিশন যে লাগু হবে সে বিষয়ে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৬ সালে লাগু হতে পারে নতুন পে কমিশন। অন্যদিকে সপ্তম বেতন পে কমিশনে (7th Pay Commission) শেষবারের মতো আরও এক দফায় ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির অপেক্ষায় দিন গুণছেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পেনশন প্রাপকরা। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন, কত শতাংশ বাড়বে ডিএ?

কত শতাংশ DA বাড়বে?

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে মহার্ঘ্য ভাতা এবং মহার্ঘ্য ত্রাণে আগের তুলনায় কিছুটা বেশি বৃদ্ধির আশা করছেন। যেহেতু আগেরবার প্রত্যাশার থেকে অনেক কম ডিএ বেড়েছে, মাত্র ২ শতাংশ। যাইহোক, এখন সরকারি কর্মীরা আশাবাদী ২ শতাংশের বেশি মহার্ঘ্য ভাতা বাড়লেও বাড়তে পারে। প্রশ্ন উঠছে, সত্যি কি তাই? এই নিয়ে সামনে এল বিস্ফোরক আপডেট যা জানার পর আপনারও মন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে যে এবারও বৃদ্ধি কম হতে পারে। এটি ২-৩ শতাংশের মধ্যে হতে পারে।

১ জুলাই থেকে ডিএ এবং ডিআর বৃদ্ধি কার্যকর হতে পারে। এটাও সম্ভব যে পরবর্তী বৃদ্ধিটি সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে ডিএ এবং ডিআর বৃদ্ধির শেষ বৃদ্ধি হতে পারে। সরকার সাধারণত দীপাবলির আগে জুলাই থেকে ডিএ বৃদ্ধি কার্যকর করার ঘোষণা করে। এখন প্রশ্ন উঠছে, কবে সরকার এই ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করবে? আর কতটাই বা লাভবান হবেন তাঁরা?

মুদ্রাস্ফীতির জেরে কম ডিএ বাড়বে?

বর্তমানে, সমস্ত কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা ৫৫% ডিএ পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বছরের মার্চ মাসে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে মহার্ঘ্য ভাতা এবং মহার্ঘ্য ত্রাণে ২ শতাংশ বৃদ্ধি অনুমোদন করে। এটি ১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ৪৮.৬৬ লক্ষ কর্মচারী এবং ৬৬.৫৫ লক্ষ পেনশনভোগী রয়েছে। যাইহোক, এখন এও প্রশ্ন উঠছে, কেন এবারেও কম ডিএ বাড়বে? জানা যাচ্ছে, এ বছরের মে মাসে দেশে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ৬ বছরের সর্বনিম্ন ২.৮২ শতাংশে নেমে এসেছে, যার প্রধান কারণ ছিল খাদ্যপণ্যের দাম কমানো।

আরও পড়ুনঃ মুখ দেখিয়েই হয়ে যাবে কাজ! কোটি কোটি কর্মী ও পেনশনভোগীকে সুখবর দিল EPFO

এর আগে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২.৫৭ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি কমার মধ্যে জুন মাসে মুদ্রানীতি কমিটির সভায় আরবিআই রেপো রেট ০.৫০ শতাংশের বিশাল হ্রাস করে। এখন রেপো রেট ৫.৫০ শতাংশ। রেপো রেট হল সেই হার যেখানে RBI ব্যাংকগুলিকে ঋণ দেয়। পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির কথা বলতে গেলে, খাদ্যদ্রব্য, উৎপাদিত পণ্য এবং জ্বালানির দাম কমে যাওয়ার ফলে মে মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ১৪ মাসের সর্বনিম্ন ০.৩৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এপ্রিল মাসে এটি ছিল ০.৮৫ শতাংশ এবং ২০২৪ সালের মে মাসে ২.৭৪ শতাংশ। এগুলি সহ আরও নানা কারণে মহার্ঘ্য ভাতা ফের কম বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও চূড়ান্ত ঘোষণার দিকে তীক্ষ্ণ নজর থাকবে সরকারি কর্মীদের।

Leave a Comment