সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে ৩৫০ কোটি টাকার চিটফান্ড কেলেঙ্কারি রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের নেতার ছেলে তাহসিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-কে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এই কেলেঙ্কারির মূল নেতা তাহসিন ও তার সহযোগিতার গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছে তিনি। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত তিন বছর ধরে চলমান এই কেলেঙ্কারিতে একটি ভুয়া এবং লাইসেন্সবিহীন কোম্পানির মাধ্যমে মোটামুটি ৩০০০ জনের বেশি পরিবারকে ১৪% মাসিক রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। এর জেরে বিনিয়োগকারীরা তাদের জমিও বিক্রি করেছে, এমনকি এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি জন্য ঋণ নিতে হয়েছে, আর জীবনের সমস্ত সঞ্চয় হারিয়েছে। সে কারণেই তদন্তের দাবি জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন।
তদন্তের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
এক্স হ্যান্ডেলের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, দীর্ঘ তিন বছর ধরেই তাহসিন নামে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু শাখার সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ ওরফে মাস্টার শাকিলের ছেলে আসানসোলের ৩০০০ নিরপরাধ পরিবারকে লুট করে আসছে। মূলত, একটি ভুয়ো লাইসেন্সবিহীন কোম্পানির মাধ্যমে তারা ৩৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
SCAM ALERT – A Massive ₹350 Crore Chit Fund Scam Rocks Asansol – Handiwork Of A TMC Bigwig’s Son
For 3 long years, Tahsin Ahmed; son of Shakil Ahmed alias Master Shakil, Co-President of TMC’s Minority Wing in Paschim Bardhaman district has been looting over 3,000 innocent… pic.twitter.com/csNKBZZgfx
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 23, 2025
ওই প্রতারক ১৪% মাসিক রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অর্থাৎ ২০ মাসে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের উপর ২.৮ লক্ষ টাকা আসতো। তবে ১৫ অক্টোবর হঠাৎ করে তিনি উধাও হয়ে যান। এর জেরে ৩০০০ পরিবারের জীবন ধ্বংস হয়েছে। মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়েছে, জমি বিক্রি করতে হয়েছে, ঋণ নিয়েছে। এমনকি মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সমস্ত সঞ্চয় নষ্ট করেছে। তৃণমূল দ্বারা জালিয়াতির কারণে জীবনের সব উপার্জন এইসব মানুষজন।
আরও পড়ুনঃ ভাইফোঁটা ২০২৫: জানুন এই দিনের পৌরাণিক কাহিনি ও রহস্য
এমনকি তিনি লিখেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বড় বড় নেতারা এবং দুর্নীতিবাজ প্রশাসন এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিল। অন্যথায় এরকম ডাকাতি কোনওভাবেই সম্ভব হত না। ৩৫০ কোটি টাকা তাহলে কোথায় গেল? বেনামী সম্পত্তি নাকি সন্ত্রাসী অর্থায়ন? নাকি দেশবিরোধী কার্যকলাপ? এর সাথে জড়িত তৃণমূলের নোংরা রাজনীতি। আমি দাবি করছি, তাহসিন আহমেদ এবং তার গোটা গ্যাংকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং অর্থের লেনদেন, তৃণমূলের যোগসূত্র ও সন্ত্রাসের অর্থায়নের বিষয়ে সেবি এবং ইডি তদন্ত করুক। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্ত ঋণ যেন পরিশোধ করা হয়।