মহিলা ভিক্ষুকের কাছ থেকে উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা! দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয়দের

Uttarakhand

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভিক্ষুকের কাছ থেকেই উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, মুদ্রা এবং ধন-সম্পত্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হরিদ্দার জেলার মঙ্গলৌর শহরে। সেখানে এক মহিলা ভিক্ষুকের কাছ থেকে ধন-সম্পদের বাক্স উদ্ধার হওয়াতে স্থানীয়দের চক্ষু চড়কগাছে ওঠে। জানা যায়, ওই মহিলা তার টাকাগুলি এক আবর্জনার পাত্রের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী এবং গত ১৩ বছর ধরে ওখানেই বসবাস করছেন। তবে কীভাবে তার কাছে এত টাকা আসলো, তা নিয়ে শুরু হয়েছে সংশয়।

কী কী মিলল তার কাছ থেকে?

রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, তল্লাশি করার সময় তার ব্যাগ থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ নোটের বান্ডিল এবং বিপুল পরিমাণে মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। ওই টাকা উদ্ধার করার পরেই লোকেরা গুনতে শুরু করে এবং হিসাব করে দেখা যায়, সেখানে মোট ৫৩,১৮৬ টাকা নগদ এবং ১৭ কেজি মুদ্রা রয়েছে। এও জানা যাচ্ছে, ওই উদ্ধারকৃত অর্থের পরিমাণ মোটামুটি ১ লক্ষ টাকা হতে পারে। এমনকি ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে জানিয়েছে যে, শীঘ্রই ওই মহিলাকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হবে, আর তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অর্থ কাউকে হস্তান্তর করে দেওয়া হবে।

রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, মানসিক দুর্বল ও প্রতিবন্ধী ওই মহিলা ভিক্ষুক মঙ্গলৌর শহরের পাঠানপুরা মহল্লায় থাকেন। তিনি গত ১৩ বছর ধরে বাড়ির বাইরে রয়েছেন। এলাকার লোকেরা যখন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তখনই সে ডাস্টবিনের কাছে কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগ লুকিয়ে রেখেছিল। এরপর মহিলাটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ব্যাগগুলি তার কাছ রেখে দেয়। তবে লোকজনের সন্দেহ হওয়াতে তল্লাশি শুরু করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, আমরা ভেবেছিলাম তার কাছে শুধুমাত্র কাপড় রয়েছে। তবে আমরা যখন টাকাগুলো পেলাম, তখন পুরো হতবাক। পুলিশকে খবর দেওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পাশাপাশি মেডিকেল টিমের সহায়তায় মহিলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হচ্ছে আর উদ্ধারকৃত টাকা কোনও সম্মানিত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে রাখা হবে।

আরও পড়ুনঃ ‘ইসকন ইহুদিদের সংগঠন!’ বয়কটের দাবিতে তোলপাড় বাংলাদেশ

তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, টাকার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই স্থানীয় চোর ও পকেটমাররা ওই ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে শুরু করে। কিন্তু পুলিশের সতর্কতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ওই মহিলা কীভাবে এবং কখন এই অর্থ সংগ্রহ করেছিল। সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য হাতে আসেনি। সবটাই এখন তদন্তের উপর নির্ভর করছে।

Leave a Comment