মুখাগ্নির আগেই বদলে গেল মৃতদেহ! আলিপুরদুয়ারে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

Alipurduar

প্রীতি পোদ্দার, আলিপুরদুয়ার: আশ্চর্য ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)! জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের জেলা হাসপাতালের মর্গ থেকেই বদলে গেল মৃতদেহ। শনিবার সকালে কামাক্ষ্যাগুড়ি আউট পোস্টের পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরীক্ষা ঠিকভাবে হলেও মৃতদেহ অন্য বাড়িতে চলে যায়। আর সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয় কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যগুড়ি এলাকায়। যার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা।

মৃতদেহ অদল বদল আলিপুরদুয়ারে

রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকালে কামাক্ষ্যাগুড়ি আউট পোস্টের পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায় । কিন্তু ময়নাতদন্তের পর তাঁর পরিবারের লোকজন যখন মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে শেষবারের জন্য, তখনই সেই মৃতদেহ নিয়ে একেবারে হইচই শুরু হয়ে যায়। দেখা যায় প্লাস্টিকে মোড়ানো মৃতদেহ অন্য এক ব্যক্তির। পরিবারের দাবি, এই দেহ কোনওভাবেই রবীন্দ্র দাসের নয়। এ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় হাসপাতালেও। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।

বিস্ফোরক অভিযোগ মৃতের পরিবারের

সূত্রের খবর, রবীন্দ্র দাসের দেহ চলে গিয়েছিল ফালাকাটার এক মৃতের পরিবারের কাছে। অন্যদিকে তাঁদের পরিবারের মৃত ব্যক্তির দেহ পাঠানো হয়েছিল রবীন্দ্র দাসের বাড়িতে। আর এখানেই মর্গের কর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের কর্মীদের মৃতদেহ অদল বদল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রথম দিকে রবীন্দ্র দাসের দেহ কাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তা বলতে গিয়ে ঘাবড়িয়ে যান। এছাড়াও তাঁদের অভিযোগ, দ্রুত সেই দেহ নাকি সৎকারও করে দেওয়া হয়। কিন্তু কী কারণে এই চটজলদি। তবে কি ঘটনার পিছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে?

আরও পড়ুন: শিশুর সামনে ফাটানো হয় বোমা! প্রতিবাদ করায় টালিগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের শ্লীলতাহানি

বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসন

এদিকে আলিপুরদুয়ারে মৃতদেহ অদল বদল করার ঘটনায় পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। রীতিমত চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ময়নাতদন্তের পর যখন দেহ এল দেখা এল এটা আসলে ওই ব্যক্তিরই নয়। ভাবতে পারছেন। পরিবারের লোকজন আপত্তি জানালে প্রশাসনের লোকজন বলে আধঘণ্টার মধ্যে দেহ দিয়ে দেব। কিন্তু গিয়ে দেখা যায় তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কতটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।”

Leave a Comment