প্রীতি পোদ্দার, ঘাটাল: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটল। দিনের পর দিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan) নিয়ে এতদিন যে পরিকল্পনা করা হচ্ছিল, অবশেষে সেটি বাস্তবের রূপ পেতে চলেছে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন, যেমন কথা তেমন কাজ। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ‘নো কস্ট মডেল’-এর খাল ও নদী সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের শোলাটোপা খাল ও দাসপুর ১ নম্বর ও ঘাটালের শিলাবতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু করে দিল সেচ দফতর। খুশির আবহে ঘাটালবাসীর মনে।
কাজ শুরু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের
রিপোর্ট অনুযায়ী, কালীপুজোর আগে ঘাটাল টাউন হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী তথা অভিনেতা দেব ও সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে সেই বৈঠক। শেষে স্পষ্ট জানানো হয় যে পুজোর পরেই শুরু হবে ঘাটালের নদী ও খাল সংস্কারের কাজ। আর তাই সেই কথা এবং প্রতিশ্রুতি মত কালীপুজো শেষ হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে খাল সংস্কারের কাজ। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের শোলাটোপা খাল ও দাসপুর ১ নম্বর ও ঘাটালের শিলাবতী নদী সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
কোথায় কোথায় শুরু হয়েছে কাজ?
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এইমুহূর্তে দাসপুর এক নম্বর ব্লকের মুর্শিদনগর থেকে শুরু হয়েছে শিলাবতী নদীর ২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত খননের কাজ হয়েছে। অপরদিকে, দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের শোলাটপা খালের ১৪.৭ কিলোমিটার খনন শুরু হয়েছে। অর্থাৎ দাসপুর ১ ও ২ ব্লকের হাত ধরে শুরু হল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের নদী খননের কাজ। এই প্ল্যানের ক্ষেত্রে সেচ দফতর জানিয়ে দিয়েছে মোট ৩৬ খাল ও নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর পর শোলাটোপা খাল সংস্কারের কাজ হওয়ায় খুশির হাওয়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: গ্রুপ-সি শিক্ষাকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে বড় পদক্ষেপ SSC-র, কপাল খুলবে এদের
জানা গিয়েছে, এইমুহুর্তে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ‘নো কস্ট মডেলে’ খাল সংস্কার করতে রাজ্য সরকারেরর কোন টাকা খরচ হচ্ছে না। উলটে টাকা জমা পড়ছে রাজ্য সরকারের তহবিলে। অর্থাৎ সেচ দফতর সংস্কারের জন্য যে বিপুল পরিমাণ মাটি খুঁড়ছে, সেই মাটি তাঁরা সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে যে অর্থ পাবে তা দিয়েই এই সংস্কারের কাজ চলবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি তথা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “ অবশেষে শুরু হয়ে গেল খাল খননের কাজ। অন্ধকার খুঁজে বেড়ানো রাজ্য বিজেপির নেতারা এবার কী বলবেন?”