SIR-এ এদের লাগবে না কোনও নথি, জানাল নির্বাচন কমিশন

West Bengal SIR

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিহারের পর বাংলায়ও শুরু হয়ে গেল এসআইআর (West Bengal SIR) বা ভোটার নিবিড় সংশোধনের কাজ। আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া। আজ বিকালে সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার। তবে ঘোষণার মধ্যেই তিনি স্পষ্ট জানালেন যে, অতিরিক্ত নথিপত্রের ঝঞ্ঝাট থেকে কিছু কিছু ব্যক্তি মুক্তি পেতে চলেছে। তাদের কোনও বাড়তি কাগজপত্র দিতে হবে না। কারা পড়ছে তালিকায়?

আগামীকাল থেকেই শুরু বাংলায় এসআইআর

উল্লেখ্য, সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে মোট ১২টি রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, কেরল, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া এবং মধ্যপ্রদেশ। এছাড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরিও তালিকায় রয়েছে।

এসআইআর প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেবেন। আর সেই ফর্ম ফিলাপ করেই তাদের হাতে জমা দিতে হবে। কিন্তু হ্যাঁ, যাদের ২০০৩ সালের সূচিতে নাম রয়েছে তাদের কোনওরকম বাড়তি কাগজপত্র দিতে হবে না বলেই জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। এমনকি নিজের নাম না থাকলেও বাবা-মায়ের মধ্যে কারোর নাম থাকলে আর বাড়তি কাগজ জমা দেওয়া লাগবে না। সেক্ষেত্রে শুধু কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করলেই হবে।

নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট বলেছেন, বুথ লেভেল অফিসাররা বর্তমানে ভোটারদের কাছে গিয়ে ফর্ম বিতরণ করবে। আর যাদের নাম এনুমারেশন ফর্মে থাকবে, তাদের সকলেরই ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল কিনা তা মেলানোর চেষ্টা করা হবে। আর যদি তালিকায় নাম থাকে, তাহলে তাদের কোনও অতিরিক্ত নথি জমা দিতে হবে না। কিন্তু যদি তাদের নাম না থাকে, তাহলে বাবা অথবা মায়ের নাম খুঁজে বার করতে হবে। তবে যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে কমিশন নির্ধারিত যে ১১টি ডকুমেন্টের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে যে কোনও একটি ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে বৈধ ভোটার হিসেবে প্রমাণ করার জন্য।

কোন কোন ডকুমেন্টে কাজ হবে?

নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে ১১টি ডকমেন্টের তালিকা দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-

  • কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন বা পেনশন পান এরকম কোনও পরিচয়পত্র,
  • প্রশাসনের দেওয়া কোনও পারিবারিক রেজিস্টার,
  • জন্ম সার্টিফিকেট,
  • জমি অথবা বাড়ির দলিল,
  • পাসপোর্ট,
  • ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিস বা এলআইসির দেওয়া কোনও নথি,
  • মাধ্যমিক কিংবা তার উচ্চতর কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট,
  • রাজ্য সরকার দ্বারা দেওয়া কোনও বাসস্থানের সার্টিফিকেট,
  • ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট,
  • জাতিগত সার্টিফিকেট,
  • নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্টার সার্টিফিকেট।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় SIR শুরুর দিনক্ষণ ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড দেখানো যাবে। কিন্তু তা দিয়ে নাগরিকত্ব দাবি করা যাবে না। কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, আধার কার্ডের সঙ্গে এই ১১টি যে কোনও একটি নথি দিতে হবে। আর যদি ১১টির বাইরে কোনও নথি দিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যেতে পারে, তাহলে সেগুলিও গ্রহণ করা হবে।

Leave a Comment