সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সোমবার রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্কের (Earthquake in Turkey) একাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির একাধিক বহুতল। তবে হ্যাঁ, এই ঘটনায় কোনওরকম প্রাণহানির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল 6.1। বলাবাহুল্য, একের পর এক ভূমিকম্পের কবলে পড়ছে তুরস্ক।
কীভাবে সৃষ্টি হল এই ভূমিকম্প?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের বালিকেসি প্রদেশের সিন্দিরগি শহর। মোটামুটি ভূমিকম্পের উৎস ভূমি থেকে 5.93 কিলোমিটার গভীরেই ছিল। বালিকেসি প্রদেশের সিন্দিরগির পাশাপাশি তুরস্কের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত ইস্তানবুল এবং পর্যটন শহর ইজমিরে মূলত এই কম্পন অনুভূত হয়। এমনকি আতঙ্কে অনেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে আর ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়।
এ বিষয়ে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কম্পনের জেরে সিন্দিরগিতে শহরে কম করে তিনটি খালি ভবন আর একটি দোতলা বাড়ি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে। আগের ভূমিকম্পের ফলে এই ভবনগুলি আগে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। এমনকি আতঙ্কের জেরে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। আর এতে দু‘জন মহিলা আহত হয়েছে। তাদেরকে বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেরকম কোনও বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
🚨🇹🇷#BREAKING | NEWS ⚠️
Strong 6.2 ⚡️Magnitude Earthquake strikes turkey with dozens of after quakes felt many buildings have collapsed or have damage⚡️ pic.twitter.com/ZCetXr58Ey— Todd Paron🇺🇸🇬🇷🎧👽 (@tparon) October 27, 2025
প্রসঙ্গত, তুরস্কে আগস্ট মাসেই হয়েছিল ভয়াবহ ভূমিকম্প। সেবার ভূগর্ভের টেকটোনিক প্লেটের একটি বড় ফল্টলাইনের ওপর দেশটির অবস্থানের কারণেই ভয়াবহ কম্পন অনুভূত হয়। আর সেবার সিন্দিরগিতে 6.1 মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছিল আর বহু মানুষ আহত হয়। সবথেকে বড় ব্যাপার, 2023 সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল তুরস্ক। সেবার তুরস্কের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ–পূর্ব অঞ্চল 7.8 মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। আর সেখানে 53 হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এমনকি বহু বাড়িঘর ধসে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তদের সুখবর শুনিয়ে অনেকটাই কমল সোনা, রুপোর দাম! আজকের রেট
চলতি মাসেই হয়েছে ভূমিকম্প
প্রসঙ্গত, এর আগে 10 অক্টোবর তুরস্কে আবারও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেবার রিখটার স্কেলে মাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল 7.4। এমনকি জারি হয়েছিল সুনামি সতর্কতা। আর সেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ফিলিপিন্সের মিন্দানাও। ফলত, সুনামি সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ আফটারশকের বিষয়েও সতর্ক করেছিল। এমনকি তার আগে 30 সেপ্টেম্বর 6.9 মাত্রার ভূমিকম্পে ফিলিপিন্স কেঁপে উঠেছিল। সেখানে মোট 69 জনের মৃত্যু হয়েছিল।