SIR ঘোষণার পরেই দিনহাটায় বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমাবাজি! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

TMC BJP Clash

প্রীতি পোদ্দার, দিনহাটা: গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুই নির্বাচন কমিশনার, এসএস সান্ধু ও বিবেক যোশীর উপস্থিতিতে দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ চালুর ঘোষণা করে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। আর তারপরেই শুরু হয় একাধিক সমালোচনা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। আর এই বিতর্কের মাঝেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের দিনহাটা। বিজেপি নেতা অজয় রায়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে (TMC BJP Clash)।

ঘটনাটি কী?

রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে একদল দুষ্কৃতী কোচবিহারের দিনহাটা এলাকায় বিজেপি নেতা অজয় রায়ের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন যুবক বাইকে করে আসে এবং বিজেপি নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজনও। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতাদের একাংশ মনে করছে এই কাজ একমাত্র শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। তারা ২৬ এর নির্বাচনকে ভয় পেয়ে এই হামলা করছে বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। এমনকি অজয় রায়ও অভিযোগ করেন যে, ”রাতের অন্ধকারে মন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে এসে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়।”

ব্যাপক অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের

সোমবার কোচবিহারের এই হিংসাত্মক ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় রি-শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর দাবি, ”SIR ঘোষণার পরেই রাতের অন্ধকারে ভারতীয় জনতা পার্টির কোচবিহার সাংগঠনিক জেলার মাননীয় সম্পাদক শ্রী অজয় রায়ের বাড়ির সামনে ভাড়াটে দুষ্কৃতীবাহিনীকে ব্যবহার করে শাসানি, হুমকি এবং বোমাবাজি করল আতঙ্কিত তৃণমূল!” তিনি আরও দাবি করেন যে, “রাতের অন্ধকারের আশ্রয় নিয়ে কাপুরুষের মতো তৃণমূলের এই আক্রমণ শুধু রাজনৈতিক নির্লজ্জতাই নয়, বরং স্পষ্ট একটি নিদর্শন যে SIR ঘোষণার পর কোচবিহারে কতটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন উদয়নবাবুরা।”

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড মমতার! ছাপিয়ে গেলেন বিধান চন্দ্র রায়কে

তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় নেতার

এদিন সুকান্ত মজুমদার কোচবিহারের এই ঘটনাকে হাইলাইট করে তৃণমূল কংগ্রেসকে একপ্রকার হুমকির সুরে বলেন যে, “ কোচবিহারের নির্লজ্জ, কাপুরুষ তৃণমূলের সমস্ত তথাকথিত গুণ্ডা নেতাদের আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, এই প্রকার মাস্তানির আচরণ ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না। প্রয়োজন হলে এই ধরনের দুষ্কৃতীদের কিভাবে গর্তে ঢুকিয়ে দিতে হয় তা বিজেপি জানে। সাহস থাকলে রাতের অন্ধকারে মাস্তানি না করে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় বেরিয়ে দেখাক এই তৃণমূলের সমাজবিরোধীরা।” যদিও এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

Leave a Comment