সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’-র প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। বাংলার জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টি। আপাতত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর এবং এর বাইরে সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা এবং হলদিয়া বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কীকরণ সংকেত দেখানো হয়েছে, এবং সাগর দ্বীপে বিভাগীয় সংকেত জারি করা হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো আজ বুধবার সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে উপকূল সংলগ্ন বাংলার আকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে রয়েছে। আজও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
প্রথমেই আসা যাক বুধবার সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Today) কেমন থাকবে সেই সম্পর্কে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা বুলিটিন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মান্থার প্রভাব আজও বাংলার ওপর থাকবে। এদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। এ ছাড়া কলকাতা, হাওড়া সহ বাদবাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বইবে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এবার আলোচনা করে নেওয়া যাক উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া সম্পর্কে। বুধবার বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলায়।
আগামীকালের আবহাওয়া
বৃহস্পতিবারও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এদিন ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়া জেলায়। বৃষ্টির পাশাপাশি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে দমকা হাওয়া। উত্তরবঙ্গের কথা বললে বৃহস্পতিবার থেকে আবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি কালিম্পং এবং দার্জিলিং জেলায়। আপাতত দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে।