সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল হরিয়ানা (Haryana)। হ্যাঁ, সৌন্দা গ্রামের এক জমিতে খননকার্যের সময়ই শ্রী রাম লেখা এক ভাসমান পাথর এবং অন্যান্য ধাতব মূর্তি পাওয়া গেল। এমনকি সেগুলি একটি লাল কাপড় দিয়ে বাধা ছিল। ইতিমধ্যেই সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে জমির মালিক দাবি করছেন, যে মূর্তিগুলো পাওয়া গিয়েছে তার কোনওরকম আনুষ্ঠানিক উৎস নেই।
জমি খননের সময়ই মিলল ঐতিহাসিক পাথর
রাজরানী নামক লক্ষীনগরের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন যে, সৌন্দা গ্রামে তাঁর নিজস্ব জমি রয়েছে। আর সেখানে তিনি তাঁর বাড়ি তৈরি করছিলেন। এর জন্য জেসিবি এবং বুলডোজার আনা হয়। আর সেগুলি দিয়েই শুরু হয় খননের কাজ। তবে মাটি খোঁড়ার সময়ই ঐতিহাসিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকে সবাই। হ্যাঁ, জমিতে কাজ করার সময় শ্রমিকরা দেখতে পান যে, একটি ভাসমান পাথরে শ্রী রাম লেখা এবং অন্যান্য কিছু ধাতব মূর্তি। তিনি ফোনেই এই খবর শুনতে পান, আর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
এরপর তিনি দেখেন যে, একটি লাল কাপড়ে মোড়া খাটু শ্যাম, হনুমান এবং লাড্ডু গোপালের একটি ধাতব মূর্তি। আর একটি ভাসমান পাথর, যেটিতে স্পষ্ট ভাষায় ‘রাম’ লেখা। তৎক্ষণাৎ তিনি সেখানে কাজ বন্ধ করে দেন। শ্রমিকরা বলেন যে, প্রথমে মন্দির তৈরি করা উচিত, তারপরই বাড়ি তৈরি করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এমনকি স্থানীয়রাও ওই স্থানে একটি মন্দির তৈরি করার দাবি করেন। কারণ, ওই দিন ছিল পবিত্র একাদশী এবং খাটু শ্যামের জন্মদিন। এরপরই ওই জমিতে ভজন কীর্তন ও মন্দির স্থাপনের তোড়জোড় শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ সাতসকালে খাস কলকাতায় শুটআউট! মহিলাকে গুলি করে পালাল দুষ্কৃতীরা
অযোধ্যাতেও রয়েছে ইতিহাস
এদিকে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি চত্বরে জমি খনন করার সময় প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই নিজেই দাবি করেছিলেন। এমনকি ১৫২৯ সালে নির্মিত বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর খননের সময় তার হদিশ মিলেছিল। এরপরে সেখানেই ঐতিহাসিক রাম মন্দির স্থাপন করা হয়।