প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শুরুটা হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন নিয়ে, সেদিন কোনও পরীক্ষা স্থগিত হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রাক্তন উপাচার্য শান্তা দত্ত। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে জোর দ্বন্দ্ব। প্রতিটা মুহূর্তে কার্যত শাসকদলের সঙ্গে ‘লড়াই’ চালিয়ে যেতে হচ্ছে শান্তা দেবীকে। বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁর পদ নিয়ে। এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব নির্দিষ্ট হতেই অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে চলেছেন শান্তা দত্ত দে (Santa Dutta)।
অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে নয়া দায়িত্বে শান্তা দত্ত
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক আশুতোষ ঘোষ। এমতাবস্থায় শান্তা দত্ত দে-র বহু আলোচিত এবং বিতর্কিত কার্যকাল অবশেষে শেষ হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও শেষ হয়েও শেষ হইল না। জানা গিয়েছে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর এবার অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছেন শান্তা দত্ত দে। আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে বিহারীলাল কলেজ ফর হোম অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স কলেজে ক্লাস নিতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। পড়ুয়াদের স্বার্থে বিনা পারিশ্রমিকেই এই দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গিয়েছে।
কী বলছেন শান্তা দত্ত?
শান্তা দত্ত দে-র অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবে নয়া দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, “ ২০২৪ সালেই শান্তা আমাকে অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর করার বিষয়ে বিভাগ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।সিন্ডিকেটে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। এমনকি রেজিস্ট্রার সেই নিয়োগপত্র তৈরিও করে রেখেছিলেন। কিন্তু আমি উপাচার্য থাকায় সেই দায়িত্ব নিতে পারিনি। শুক্রবার সেই দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে নিয়োগপত্র নিয়েছি। ক্লাস নেব। আমার বিভাগও এতে খুব খুশি।” তবে তাঁর এই নয়া পদ নিয়ে খানিক অখুশি বিরোধীপক্ষ। তাইতো নতুন দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে শান্তা দেবীকে পুনরায় অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন: গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে বাবার, রিচা বাড়িতে এলে কী হবে? জানালেন মানবেন্দ্র ঘোষ
নয়া পদ নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ
প্রাক্তন উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-র অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর পদ নিয়ে বিরোধী পক্ষের দাবি, বিভাগীয় বৈঠক ছাড়াই এই প্রস্তাব সিন্ডিকেটে গিয়েছিল। এনিয়ে বিভাগে কোনও বৈঠক হয়নি। এভাবে পুরোনো চিঠির মাধ্যমে কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে এ বিষয়ে শান্তাদেবীর বক্তব্য, ‘বিভাগীয় বৈঠক হয়নি ঠিকই। তবে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনের শিক্ষকরা এতে সই করেছিলেন। কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ক্লাস চলছে। তাই তাঁরা অনিবার্যতা জানতেন।’ এদিকে এই বিষয়ে রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাসকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।