সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই লক্ষ্যে অবিচল থাকতে কেন্দ্রের মোদী সরকার নতুন এক ব্যবস্থা চালু করতে প্রস্তুত। আজ কথা হচ্ছে ওয়ান রেশন ব্যবস্থায় ‘ই-ফুড ভাউচার’ নামে ফুড কুপন (Ration Food Coupon)। যোগ্য রেশন প্রাপকদের উদ্দেশ্যে এই বিশেষ ভাউচারটি দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
‘ই-ফুড ভাউচার’ দেওয়ার ভাবনা কেন্দ্রের
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ব্যাপারে পাইলট প্রকল্প চালু করারও পরিকল্পনা করে ফেলেছে খাদ্যমন্ত্রক। গত ২৮ অক্টোবর মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ রিভিউ মিটিংয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’য় যে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়া হয়, সেখানেই বিতরণ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা চলছে। মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবকে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে বিস্তারিত নোট তৈরি করে মন্ত্রীকে পাঠানোর জন্য।
জানিয়ে রাখি, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায়, রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে নিবন্ধিত রেশন কার্ড সুবিধাভোগীরা বর্তমানে প্রয়োজনীয় পণ্যের সুবিধা পাচ্ছেন। যার আওতায় গম এবং চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এবং রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে রেশন কার্ড সুবিধাভোগীরা প্রোটিন সমৃদ্ধ মানসম্পন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের সুবিধা পান। যার আওতায় রেশন কার্ডধারীরা নিয়মিতভাবে অড়হর ডাল, ছোলা, চিনি এবং লবণের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের সুবিধা পান।
কীভাবে কাজ করবে ফুড কুপন?
এখন সকলে মধ্যে একটা প্রশ্ন বারবার জাগছে, সেটা হল খাদ্যশস্য বিতরণের ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করবে এই ই ফুড ভাউচার নামের ফুড কুপনটি? খাদ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ব্যবস্থা কার্যকর হলে রেশন গ্রাহকদের মোবাইলে পাঠানো হবে ওই ই-ফুড ভাউচার। সেটি দেখিয়ে গ্রাহক তাঁর পছন্দমতো দেশের যে কোনও রেশন দোকান থেকে খাদ্যশস্য নিতে পারবেন। আগে রেশনে খাদ্যশস্যর পরিবর্তে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল খাদ্যমন্ত্রক। চণ্ডীগড়ে তা চালুও করা হয়েছিল। কিন্তু রেশন দোকানদের প্রবল আপত্তিতে তা বাতিল করতে বাধ্য হয় কেন্দ্র। রেশন ডিলারদের কমিশনে কোপ পড়ছিল বলে অভিযোগ।
যাইহোক, সরকারের নতুন ব্যবস্থাকে ভালো চোখে দেখছে না ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন।’ এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘রেশন দোকানদের ভাতে মারতে চাইছে মোদি সরকার। প্রতিটি দোকানে এলাকার বাসিন্দা হিসেবে গ্রাহক সংখ্যা নির্দিষ্ট। তার মধ্যে যদি এক দোকানের গ্রাহক অন্য দোকানে খাদ্যশস্য নেন, তাহলে কমিশন কমে যাবে।