নামের বানানে বিভ্রান্তি! এবার SIR আতঙ্কে আত্মঘাতী ৩০-র যুবক, শোরগোল উলুবেড়িয়ায়

Howrah

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ ৪ নভেম্বর থেকেই বুথে বুথে এনিউমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে চলছে SIR নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি। এমতাবস্থায় SIR আতঙ্ক নিয়ে ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায়। জানা গিয়েছে SIR-এর দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই আতঙ্কে ভুগছিলেন বছর ৩০-এর যুবক, আর তাতেই এই পরিণতি। এদিকে এই SIR নিয়ে রাজ্যে সাত জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠে এল।

SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ২ ব্লকের খালিসানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হলেন জাহির মাল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বছর ৩০-এর এই যুবকের ঝুলন্ত দেহ তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে তাঁর নাম ছিল না। কিন্তু কমিশন জানিয়েছিল, ২০০২ সালের লিস্টে যাদের নাম নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্য ১১ টি নথি গ্রহণযোগ্য। এদিকে, সেই ১১ টির মধ্যে জাহিরের কোনও একটি নথিতে নামের বানান ভুল ছিল। একাধিকবার সেই ভুল সংশোধনের চেষ্টা করেন জাহির। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সেই ভুল সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। তাতেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন জাহির। আর সেই আতঙ্ক থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

বিজেপিকে দোষ দিল শাসকদল

SIR আবহে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনায় বিজেপিকে দোষারোপ করছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয় হাওড়ায় যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়েই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী পুলক রায়কে মৃতের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, এমন ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূলই। তারাই সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। অকারণে ভয় পাচ্ছেন মানুষ। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘SIR নিয়ে ভয় দেখিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।”

আরও পড়ুন: পরকীয়ায় মত্ত স্ত্রীকে অন্যের হাতে তুলে দিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে দুধ দিয়ে স্নান করলেন স্বামী

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ‘NRC-র আতঙ্কে’ আত্মঘাতী হয়েছিলেন আগরপাড়ার মশারি ব্যবসায়ী প্রদীপ কর। যা নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এমনকি পুলিশি তদন্তে তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছিল সেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখা ছিল “আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী NRC…।” যদিও হাতের লেখা তাঁর কি না, সেই নিয়ে উঠছে বিস্তর অভিযোগ। কারণ তাঁর ডান হাতের চারটে আঙুল কাটা।” ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে ওই নোটের। এদিকে খড়দহ থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন প্রদীপের ভ্রাতৃবধূ।

Leave a Comment