বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বহু পুরনো সংবিধান বদলে ফেলছে পাকিস্তান! জানা যাচ্ছে, সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের জন্যই পরিবর্তন আসতে চলেছে পাকিস্তানের সংবিধানে (Pakistan Constitution Change)। সেই মর্মে পাকিস্তানের সংসদে ইতিমধ্যেই 27তম সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ওই প্রস্তাব পাসের জন্য ভোট দিয়েছেন স্বয়ং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
প্রস্তাব পাস হলেই সরকারি ক্ষমতা চলে আসবে মুনিরের হাতে?
বিবিসি উর্দুর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের সংবিধান পরিবর্তনের জন্য সংসদে প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি যদি তৈরি থাকে সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই সংসদে একটি অধিবেশন ডাকা হতে পারে। সেই অধিবেশনেই চূড়ান্ত হবে 27তম সংশোধনী প্রস্তাব। আর সেই প্রস্তাব পাস হয়ে গেলেই পাকিস্তানের একজন সরকারি ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠবেন পাক সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।
কোন কারণে মুনিরের জন্যই বদলে যাচ্ছে পাকিস্তানের সংবিধান?
পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্টের পদটি এখন সাংবিধানিক। তবে পাক সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ অর্থাৎ আসিম মুনিরের পদ এখন নির্বাহী এবং প্রশাসনিক। তবে শেহবাজ শরীফ সরকার চাইছে ফিল্ড মার্শাল এবং সেনাপ্রধানের পদে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া হোক। সেজন্যই, পাকিস্তানের সংবিধানে কিছু বদল আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সাথে সাথেই মুনিরের পদ সাংবিধানিক হয়ে যাবে। আসলে মুনিরকে সাংবিধানিক পদ পাইয়ে দিতেই দেশের সংবিধান সংশোধন করতে চাইছে শরীফ সরকার।
রাষ্ট্রপতির পদ সাংবিধানিক সেক্ষেত্রে সেনাপ্রধান এবং ফিল্ড মার্শালের পদ যদি সাংবিধানিক হয় তবে কি আসিম মুনিরের পদ রাষ্ট্রপতির সমতুল্য হতে চলেছে? প্রশ্নটা উঠলেও আপাতত এর উত্তর দেয়নি পাকিস্তানের সরকার। বলা বাহুল্য, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সময় একেবারে নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা নিয়ে মুনিরকে ফিল্ড মার্শালের পদ দিয়েছিল পাক সরকার।
অবশ্যই পড়ুন: বিরাট খবর! ‘মাটির কণা’ দিয়ে পারমানবিক অস্ত্র তৈরি করতে চলেছে চিন
পাকিস্তানের বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে সরকার?
রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটির সাংবিধানিক নিয়মে পরিবর্তণ এলে একাধিক ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু হবে। সেই সূত্রেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পশ্চিমের দেশের বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার তোড়জোড় চালাচ্ছে পাক সরকার? বেশ কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র যা বলছে তাতে, সংবিধান পরিবর্তনের পাশাপাশি আগামী দিনে দেশটির বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্রেও হস্তক্ষেপ করতে পারে পাকিস্তানের সরকার। সেই মতোই নাকি তৈরি হয়ে গিয়েছে পরিকল্পনা!