সহেলি মিত্র, কলকাতা: আবারও প্রশ্ন উঠল ভারতীয় রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। এবার চলন্ত ট্রেনে এক সেনা জওয়ানকে হত্যার (Army Jawan Killed In Train) অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল দেশে। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে।
চলন্ত ট্রেনে সেনা জওয়ানকে হত্যার অভিযোগ
জানা গিয়েছে, জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার ফলে গুজরাটের এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে যে, ট্রেন চলার সময় কোচ অ্যাটেনডেন্ট এবং জওয়ানের মধ্যে কিছু একটা বিষয় নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে, যা দ্রুত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘটনাটি ঘটে ২ নভেম্বর। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে দেয়। ইতিমধ্যেই কোচ অ্যাটেনডেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নিহত জওয়ানের নাম জিগার কুমার, তিনি গুজরাটের বাসিন্দা। তিনি জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে ফিরোজাবাদ থেকে বিকানের যাচ্ছিলেন। পথে কোনও বিষয় নিয়ে কোচ অ্যাটেনডেন্টদের সঙ্গে তাঁর তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়। তর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠলে কোচ অ্যাটেনডেন্টরা তাকে বারবার ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ। লুঙ্কারানসার এবং বিকানেরের মধ্যে চলন্ত ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে। এই হামলায় কোচে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অন্যান্য যাত্রীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
তদন্ত শুরু পুলিশের
ট্রেনটি বিকানের স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গে আহত জওয়ানকে পিবিএম হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই প্রসঙ্গে জিআরপি সিআই আনন্দ গিলা জানিয়েছেন যে ঘটনাটি ২ নভেম্বর ঘটে। রাত ১১ টার দিকে গুজরাট থেকে আসা ফিরোজপুর-সবরমতী ট্রেনটি লঙ্কান রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার পর ঘটনাটি ঘটে। গুজরাটের বাসিন্দা জিগার কুমার এবং ট্রেনের কোচ অ্যাটেনডেন্টদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর পরপরই অ্যাটেনডেন্ট ছুরি দিয়ে সেনা জওয়ানের উপর আক্রমণ করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় একজন অ্যাটেনডেন্টকে আটক করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।