প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নদীয়ার পর এবার খড়দহ! জাল পাসপোর্ট মামলায় ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তথা ED। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ বাজারের কাছে বিটি রোড সংলগ্ন নর্মদা আবাসনে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED Raid In Khardaha)। দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালিয়েছেন।
খড়দহে পাসপোর্ট কাণ্ডে ED-র হানা
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, খড়দহ বাজারের কাছে বিটি রোড সংলগ্ন নর্মদা আবাসনে মনোজ কুমার গুপ্তা নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে অ্যাকশন মোডে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ব্যবসায়ীর জিমেল তথ্য সংগ্রহ ইডির। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ী বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার কাজ করেন। ঘন-ঘন থাইল্যান্ড সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যাতায়াত করেন। একই সঙ্গে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র সংলগ্ন পাশের একটি দোকানে জোর তল্লাশি চলেছিল। সেখানে বিগত পাঁচ বছরের জিমেলের ব্যাকআপ ও গুগলের যাবতীয় ডেটা সংগ্রহ করে এনেছেন আধিকারিকরা।
ব্যবসায়ী ও দালালের নাম উঠে আসার আশঙ্কা ED-র
জাল পাসপোর্ট মামলায় এখনও ইডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। সূত্রের খবর, এই মামলায় আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী ও দালালের নাম উঠে আসতে পারে। সব মিলিয়ে, জাল পাসপোর্ট মামলায় নতুন করে গতি পেয়েছে তদন্ত, আর তার জাল এখন ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে বিরাটি থেকে পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক জাল পাসপোর্ট মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। তাঁকে জেরা করেই একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছিলেন আজাদ। এরপর ভুয়ো নথি জোগাড় করে নিজের নামে জাল পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে নেন তিনি।
আরও পড়ুন: SIR আবহে হিঙ্গলগঞ্জে আক্রান্ত বিজেপির BLA-2! অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে
ধৃত আজাদকে জেরা করে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার গেদে সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। কারণ ইডির সন্দেহ, ওই ব্যক্তি শুধু একা নয়, এই ঘটনার পিছনে সক্রিয় রয়েছে আরও একটি বড় চক্র, যার মূল পান্ডা আজাদই হতে পারে। সম্প্রতি নদিয়ার শিবপুর থেকে ইন্দুভূষণ হালদার নামে একজন গ্রেফতার হয়েছিল। এমনকি এই জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে গত সোমবার চারটি গাড়িতে করে ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সহ ইডি আধিকারিকদের একাংশ নদীয়ার এক কাঠমিস্ত্রি বিপ্লব ও তাঁর ভাই বিপুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। খতিয়েও দেখা হয়েছিল তাঁদের পাসপোর্ট এবং বিভিন্ন নথি।