বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: লটারি ভাগ্য বদলেছে অনেকের। এবার ঘুরল এক সবজি বিক্রেতার ভাগ্যের চাকা। জানা গিয়েছে, মাত্র 1টি টিকিটেই 11 কোটি টাকা জিতেছেন রাজস্থানের অমিত সেহরার (Rajasthan Man Wins Lottery)। শোনা যায়, বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে ওই পাঞ্জাব লটারির দেওয়ালি বাম্পারের টিকিটটি কেটেছিলেন অমিত। এবার তাতেই ভাগ্য বদলে গেল তাঁর।
পাঞ্জাবে গিয়েই কোটিপতি হলেন অমিত
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থানের জয়পুর এলাকার কোটপুতলির বাসিন্দা পেশায় সবজি বিক্রেতা অমিত। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, রাজস্থানের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সবজি বিক্রি করতেন তিনি। তা থেকে যা আয় হতো সেটা দিয়েই এক আধ ভাঙা ঘরে স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে জীবন যাপন করতেন সবজি বিক্রেতা।
সূত্রের খবর, হঠাৎ একদিন বন্ধুর সাথে পাঞ্জাবে পৌঁছন অমিত। সেখানেই 1 হাজার টাকা দিয়ে একটি পাঞ্জাব লটারির দেওয়ালি বাম্পার টিকিট কেটে ফেলেন তিনি। 31 অক্টোবর ছিল খেলা। এদিকে বন্ধুর কাছ থেকে হাজার টাকা নিয়ে তা মেটানোর চিন্তা ছিল মাথায়। এরই মাঝে প্রকাশিত হয় লটারির রেজাল্ট। প্রথম সুখবরটা দিলেন সেই বন্ধুই। অমিতের বন্ধু তাঁকে জানান, এক লটারিতেই কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রথম পুরস্কার হিসেবে 11 কোটি জিতেছে অমিত।
লটারি বিজেতার দাবি, লটারিতেই যে 11 কোটি টাকা লেগে গিয়েছে সেটা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি। পরে বুঝতে পারেন ঈশ্বর আদতেই মুখ তুলে চেয়েছে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার চন্ডিগড়ে গিয়ে লটারির পুরস্কার দাবি করেন ওই ব্যক্তি। আপাতত যা খবর, লটারির টিকিট জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের যাবতীয় কাজ মিটে গিয়েছে অমিতের।
অবশ্যই পড়ুন: হাত মেলাল EPFO ও পোস্ট অফিস, এবার আর ছুটতে হবেনা পেনশনপ্রাপকদের!
লটারির বিপুল অর্থ দিয়ে কী করবেন সব্জি বিক্রেতা?
দীর্ঘদিন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সবজি বিক্রি করেছেন অমিত। লটারি বিজেতা জাননা, ‘আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় বহুবার হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করত। প্রথম থেকেই সন্তানদের বড় অফিসার করার স্বপ্ন দেখতাম। তাই রোজ প্রার্থনা করতাম ঈশ্বরের কাছে। মাঝেমধ্যেই ভাগ্য বদলানোর জন্য লটারি কাটতাম। ভাবতে পারিনি এভাবেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে।’
লটারির টিকিট কেনার জন্য বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন আমিত। সেই অর্থ তো পরিশোধ করবেনই সেই সাথে বন্ধুর দুই মেয়ের জন্য 50 লক্ষ টাকা করে দেবেন অমিত। এছাড়াও নিজের এবং পরিবারের জন্য একটি পাকা বাড়ি তৈরি করার পাশাপাশি সন্তানদের ভাল কলেজে ভর্তি করানোর সাথে সাথেই বড় মাপের অফিসার করার স্বপ্ন পূরণ করবেন রাজস্থানের সবজি বিক্রেতা। সেই সাথে গচ্ছিত অর্থ দিয়ে একটা ব্যবসা শুরু করারও ইচ্ছে রয়েছে তাঁর!