সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভাগ্যের চাকা ঘুরতে চলেছে পাকিস্তানের! বিরাট সোনার খনির হদিস পেল তারা (Gold Reserve in Pakistan)। এক্কেবারে শত শত বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনার মজুদ আবিষ্কার করে ফেলেছে সন্ত্রাসের দেশ। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের তারবেলায় 636 বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই সোনার খনির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এয়ার করাচির সভাপতি এবং ফেডারেশন অফ পাকিস্তান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিরর (FPCCI) প্রাক্তন সিনিয়র সহ-সভাপতি নিজেই জানিয়েছেন এ কথা।
ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবে পাকিস্তান?
FPCCI এর সহ-সভাপতি হানিফ গোহর জানিয়েছেন, তারবেলায় পাওয়া সোনা পাকিস্তানের বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য একেবারে যথেষ্ট। এমনকি তিনি বলেছেন যে, বিষয়টি ইতিমধ্যে স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসালিটি কাউন্সিল এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের গভর্নরের নজরে আনা হয়েছে। তিনি দাবি করছেন, খনি প্রক্রিয়ার সহায়তা করার জন্য পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ান এবং কানাডিয়ান কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলেই এখান থেকে সোনা উত্তোলন করা হবে।
এদিকে তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও সেনাপ্রধানকে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির উভয়ই এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি ডুবুরিরা বাঁধের ভেতর থেকেই মাটির নমুনা সংগ্রহ করছেন। আর সেখানে সোনার পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য ইতিমধ্যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই বাঁধের মাটিতে থাকা সোনার মূল্য আনুমানিক 636 বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুনঃ বেতনের থেকে ১০ গুন বেশি সম্পত্তি! দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার কলকাতা পুরসভার কর্মকর্তা
কবে শুরু হবে কোন উত্তোলন?
হানিফ গোহর বলছেন যে, এই সোনা উত্তোলনের জন্য জল ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তা দরকার। যদি তা হয়, তাহলেই কোম্পানি বিনিয়োগ করতে বা উত্তোলনের কাজ করতে সরকারের কাছে আর্জি জানাতে পারবে। এদিকে তিনি আরও বলেছেন যে, তার দল সম্পূর্ণভাবেই প্রস্তুত এবং ইতিমধ্যেই নেদারল্যান্ডসের ড্রেজিং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যদি সরকার সবুজ সংকেত দেয়, তাহলে খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ফলত মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান হয়তো তাদের ঋণের বেড়াজাল থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে।