সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ বাংলার ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতার মামলার (Bengal DA Case) শুনানি শেষ। এবার সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত রায়দানের পালা। যদিও এই রায়দান কবে হবে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত পঞ্চম বেতন পে কমিশনের আওতায় বাংলার মহার্ঘ্য ভাতার মামলা নিয়ে কী রায়দান করে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন সরকারি কর্মীরা। তবে সেই অপেক্ষার যেন অবসানই ঘটতে চাইছে না। যদিও কিছুটা আশার ক্ষীণ আলো দেখতে পেলেন সকলে। আর এই রায়দানের বিষয়ে বড় মন্তব্য করলেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়।
বুধেই DA মামলার চূড়ান্ত রায়দান?
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১২ নভেম্বর বাংলার ডিএ মামলার রায়দান হলেও হতে পারে বলে আশাবাদী সরকারি কর্মীরা। এই বিষয়ে এক ফেসবুক বার্তায় কনফেডারেশন অব স্টেট গভঃ এমপ্লয়িজ (আইএনটিইউসি)-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় লেখেন, ‘আগামী বুধবার ১২.১১.২৫ দুপুর ৩ টে থেকে মাননীয় বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চ গঠন হয়েছে৷ আমরা আশা করছি ওই দিন DA মামলার রায় প্রকাশ পেতে পারে৷ এক্ষেত্রে আগেরদিন সাপ্লিমেন্টারি বা দুদিন আগে কনফার্ম লিস্টে ভার্ডিকের কথা উল্লেখ থাকতে পারে৷ বলাবাহুল্য পরদিনও অর্থাৎ ১৩.১১.২৫ দুপুর ২টো থেকে মাননীয় বিচারক সঞ্জয় কারোলের (বৃহস্পতিবার) স্পেশাল বেঞ্চ গঠন হয়েছে৷ তবে এক্ষেত্রে এখনও দ্বিতীয় জাজ এর নাম প্রকাশিত হয়নি৷’
এর আগে মলয়বাবু এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রায়দান হওয়ার কথা ছিল বলে জানতাম। এদিকে নভেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। এই সপ্তাহেও রায়দান হবে কিনা তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। কর্মচারিরা সবসময়েই আমাদের এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছেন। কিন্তু আমরা যেটা আশা করেছিলাম সেটা হয়নি। বলা ভালো সংশয় যায়নি। এই সপ্তাহেই ডিএ নিয়ে রায়দান হবে সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে। কর্মচারি সমাজকে আমরা আবারও বলছি যে নভেম্বরে ডিএ মামলার রায়দানের সম্ভাবনা আছে। বুঝতে হবে সকলকে, সুপ্রিম কোর্টে আমরা খোঁজখবর রাখলেও সঠিক খবর পাইনা। আমাদের বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে রায় নিয়ে ভাবা হচ্ছে, রায়দান হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘এহেন পরিস্থিতিতে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নই যে এই সপ্তাহেই রায় বেরোবে। তবে আমরা আশা করছি নভেম্বর মাসেই ডিএ মামলার রায়দান করবে সর্বোচ্চ আদালত। পূর্ণ অধিকারে আমরা সরকারের কাছে ডিএ চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার সেটা দিতে চায়নি বলেই আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। গত ৮ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। এখন আমরা অপেক্ষা করছি রায়দানের। আমাদের ষষ্ঠ বেতন পে কমিশনে ডিএ দিচ্ছে কিন্তু তা ইরেগুলার। এখানে সরকার বলতে তো মমতা ব্যানার্জি। তিনি যেদিন মনে করবেন সেদিন এক কিস্তি দিয়ে ছুঁড়ে দেবেন।’