রেডি রাখুন লেপ, কম্বল! দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় কাঁপিয়ে শীত, আজকের আবহাওয়া

weather today winter bengal

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই ক্রমশ বাংলার পারদ কমছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত আগামী কয়েকদিন বাংলায় বড় কোনও দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। প্রধানত শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে বাংলার কিছু স্থানের ন্যুনতম তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি অবধি কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ এখনও যদি আলমারি থেকে সোয়েটার, জ্যাকেট, লেপ, কম্বল না বের করে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে বের করে ফেলুন সেসব।

বর্তমানে হিমেল হাওয়ার স্রোত বইছে কলকাতা সহ সমগ্র বাংলায়। বিশেষ করে এই শীতের আমেজেই জুবুথুবু অবস্থা বাংলার বহু মানুষের। আগামী কয়েকদিনে শীত যখন আরও জাঁকিয়ে পড়বে তখন কী হবে, সেটা ভেবে এখন থেকেই কেঁপে যাচ্ছেন সকলে। আজ বুধবারও বাংলাজুড়ে শীতল হাওয়ার দাপট (Weather Today) থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। বেশ কিছু জেলায় বিশেষ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

প্রথমেই আসা যাক আজ বুধবার সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া কেমন থাকবে সে সম্পর্কে। আলিপুরের তরফে জারি করা বুলেটিন অনুযায়ী, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডার দাপট বজায় থাকবে, বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ব্যাপক ঠান্ডা পড়বে। বইবে হিমেল হাওয়া। আজ স্বাভাবিকের থেকে বেশি ঠান্ডা থাকবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান সহ পশ্চিমাঞ্চল লাগোয়া জেলাগুলোতে। এই জেলাগুলি সহ কলকাতাতেও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাড়তে চলেছে। উল্লেখিত জেলাগুলির পারদ ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে বলে খবর।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া সম্পর্কে। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকছে। পার্বত্য এলাকায় কুয়াশার পরিমাণ বেশী হতে পারে। দার্জিলিং , কালিম্পং , আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি সব জেলাতেই কুয়াশার সম্ভাবনা। রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ বিরাজ করছে সর্বত্র। আপাতত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কোনওরকম সম্ভাবনা নেই। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় বেশি ঠান্ডা থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর মৌসম ভবন।

ফের নিম্নচাপের সম্ভাবনা

তীব্র শীতের মাঝেই ১৯ নভেম্বরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অমরাবতীর সিনিয়র আইএমডি বিজ্ঞানী ডঃ এস. করুণাসাগর বলেছেন, বৃহস্পতিবারের পর ঘূর্ণাবর্তের তীব্রতা এবং গতিপথ স্পষ্ট হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রায়লসীমায় বৃষ্টিপাত হতে পারে, যার প্রভাব উত্তর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে খুব কম পড়বে। তিনি আরও বলেন, উত্তর অভ্যন্তরীণ তামিলনাড়ু এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত উচ্চ বায়ু ঘূর্ণাবর্তটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানামের উপর নিম্ন-ট্রপোস্ফিয়ারিক উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব-পূর্ব বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে।

Leave a Comment