প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাস্তা জুড়ে বেড়েই চলেছে বেআইনি ই-রিকশা (E Rickshaw) ও টোটোর রমরমা। রাস্তাঘাটে যাতায়াত করা যেন বেশ দুষ্কর হয়ে উঠেছে সাধারণের কাছে। সেই কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং বেআইনি টোটো ও ই-রিকশায় লাগাম টানতে দুর্গাপুজোর পরেই গত ৯ অক্টোবর টোটো নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ওই কাজ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে করার কথা বলা হলেও এখনও শেষ হয়নি কাজ।
বাড়ছে বেআইনি ই-রিকশার দাপট
টোটো ও ই-রিকশা চালক সংগঠনের অভিযোগ, রাজ্য তথা পরিবহণ দপ্তর যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিলেও সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রচার চালায়নি। যার ফলে, গ্রামের আনাচে-কানাচে অধিকাংশ টোটো ও ই-রিকশা চালকরা রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি জানেন না। সেই কারণেই বেআইনি টোটোর দাপট বাড়ছে এবং ই-রিকশা রেজিস্ট্রেশন মন্থর গতিতে চলছে। এদিকে এই ধীর গতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্নের মুখে পড়েছে পরিবহন দপ্তর। এদিকে নির্দেশিকা বলছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। এদিকে সময়সীমা শেষ হতে বাকি আছে ২০ দিনেরও কম সময়। কীভাবে সবটা সময়ের মধ্যে শেষ হবে তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এখনও রেজিস্ট্রেশন হয়নি অনেক টোটোর
গত ১৩ অক্টোবর থেকে টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য টেম্পোরারি টোটো এনরোলমেন্ট নম্বর নথিভুক্তির পোর্টাল চালু হলেও এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা শহর এবং শহরতলি মিলিয়ে বেআইনি টোটোর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষের কাছাকাছি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পোর্টাল চালু হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত মেরেকেটে ২০ হাজারের কাছাকাছি টোটো নির্দিষ্ট ফি দিয়ে কিউআর কোড যুক্ত ওই বিশেষ নম্বর নিয়েছে। এখনও অনেক কাজ বাকি। টোটো চালকদের একাংশের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১৭৪০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। পরে এক বছর কিছু দিতে হবে না। কিন্তু কোন রাস্তায় টোটো ও ই-রিকশা চলবে, তার কোনও নির্দেশিকা বেরোয়নি। সেজন্য টোটো চালকরা রেজিস্ট্রেশন করাতে ভয় পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৩,৮০০টি হৃদরোগ অস্ত্রোপচারের খরচ বহন, গিনেস বুকে নাম উঠল গায়িকা পলক মুচ্ছলের
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে টোটোকে শৃঙ্খলায় আনতে রাজ্য সরকার যেখানে নম্বর প্লেট ও কিউআর কোড আনার উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই জানিয়েছেন যে, “পুজোর টাকা বাড়ানোর সময়ে কোনও সঙ্কোচ দেখা যায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিকে গরিব টোটোর রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে।” তাঁর দাবি করেছেন সরকার যেন রেজিস্ট্রেশনের জন্য হাজার টাকা এবং মাসিক ১০০ টাকা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা যেন মকুব করে। তবে সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।