সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ সময়ের আগেই কি কপাল খুলতে চলেছে পেনশনভোগীদের? আজ কথা হচ্ছে EPS পেনশন নিয়ে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই হয়তো বেতনের পরিমাণ ১৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫,০০০ টাকা অবধি বৃদ্ধি করতে পারে EPFO। আর এমনটা যদি ঘটে তাহলে তো লটারি লাগতে পারে কর্মীদের। চলুন আরও বিশদে জেনে নেবেন ঝটপট।
২৫,০০০ টাকা অবধি বাড়বে বেতন সীমা?
আসলে কর্মচারীদের ভবিষ্যনিধি তহবিল সংস্থা (EPFO) বাধ্যতামূলক সদস্যপদে বেতনের সীমা ১৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫,০০০ টাকা করার কথা ভাবছে। এর অর্থ হল, উচ্চ বেতনভোগী কর্মীরাও এখন EPF এবং EPS প্রকল্পের আওতায় সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। শ্রম মন্ত্রক সূত্রে খবর, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে EPFO বোর্ড সভায় এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে চূড়ান্ত অনুমোদনের আশা করা হচ্ছে।
১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন
এখনও পর্যন্ত, ১৫,০০০ টাকার বেশি মূল বেতনের কর্মচারীরা চাইলে EPFO প্রকল্পের বাইরে থাকতে পারেন, কারণ নিয়োগকর্তাদের তাদের অন্তর্ভুক্ত করার কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু এই সীমা বৃদ্ধির পর, প্রায় ১ কোটি নতুন কর্মচারী এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রম মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে এই পদক্ষেপ সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করবে এবং মধ্য-দক্ষ কর্মীদের জন্য ভবিষ্যৎ তহবিলের সুবিধাও প্রদান করবে। অনেক ট্রেড ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে এই সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিল। এর কারণ আজকাল, কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লির মতো মেট্রো শহরগুলিতে বেশিরভাগ কর্মচারীর মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি।
ইপিএফ এবং ইপিএস উভয় প্রকল্পেই, কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়কেই ১২ শতাংশ করে অবদান রাখতে হবে। এতে, কর্মচারীর পুরো ১২ শতাংশ ইপিএফ-এ যায়, যেখানে নিয়োগকর্তার অবদান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর ৮.৩৩ শতাংশ ইপিএস-এ এবং ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ-এ যায়। কর্মকর্তাদের মতে, বেতন সীমা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইপিএফ-ইপিএসের কর্পাস দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, যা কর্মচারীদের অবসরকালীন পেনশন এবং সুদ উভয়ই বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে, ইপিএফও-এর মোট তহবিল প্রায় ২৬ লক্ষ কোটি টাকা এবং এর ৭.৬ কোটি সক্রিয় সদস্য রয়েছে।