হাইকোর্টে শুনানিতে WhatsApp-এ কী দেখালেন বিকাশ? রেগে লাল বিচারপতি দিলেন কড়া নির্দেশ

SSC Case

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলায় জর্জরিত রাজ্যে। কখনও টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে যোগ্যদের অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার টক্কর তো আবার কখনও প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ। এবার সেই নিয়ে হাইকোর্টে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। আজ এজলাসে এসএসসির মামলা (SSC Case) চলাকালীন হঠাৎ বিরক্ত হয়ে উঠলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কোর্টের অন্দরে হাততালি দেওয়ার জন্য মক্কেলদের বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

মামলা চলাকালীন রেগে লাল বিচারপতি

২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর একাধিক বিতর্কের মাঝেই এসএসসি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়, এরপর ৫৪ দিনের মাথায় গত ৭ নভেম্বর একাদশ দ্বাদশের ফল প্রকাশ পায়। কিন্তু যে সকল চাকরিপ্রার্থীরা এই পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের একাংশের অভিযোগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল ভুলে ভরা। এরপরই মামলা দায়ের হয় কোর্টে। আজ অর্থাৎ বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে চলছিল সেই মামলার শুনানি। যুক্তি তর্ক বিতর্ক নিয়ে সেই সময় আচমকা দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল আইনি লড়াই চলছিল, এমন সময় একদল অতি উৎসাহী মানুষ এজলাসের ভিতরেই হাতিতালি দিয়ে একপক্ষের আইনজীবীর দেওয়া যুক্তিকে সমর্থন করেন। আর তাতেই ক্ষেপে লাল বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সঙ্গে সঙ্গে মক্কেলদের বের করে দেন তিনি।

ভয়ংকর অভিযোগ বিকাশরঞ্জনের

হাইকোর্টে মক্কেলদের অশোভনীয় আচরণকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেন প্রবীণ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল বের করে একটি WhatsApp মেসেজ দেখান আদালতে। তাঁর দাবি, এ দিন মামলা চলাকালীন যাঁরা হাততালি দিচ্ছিলেন তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মামলা চলাকালীন এজলাসে ভিড় করে থাকেন। তাতে আদালতের উপরে চাপ থাকবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয় ওই মেসেজে। অর্থাৎ সবটাই ষড়যন্ত্র, আর এই দাবি শুনেই বিচারপতি সিনহা একটু হালকাভাবেই বলেন, “এই ভাবে কি আর চাপ দেওয়া যায়!” তারপরেই বাইরে বের করে দেওয়া মক্কেলদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন: কাটছে না জেলের অন্ধকারময় স্মৃতি! বাড়িতে চেয়ারে বসেই নির্ঘুম রাত কাটালেন পার্থ

বড় নির্দেশ বিচারপতির

বিচারপতি অমৃতা সিনহা হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলার প্রসঙ্গ তুলে স্পষ্ট বার্তা দেন যে আগামী দিনে এই ধরনের মামলা যেগুলো জনগণের উপর প্রভাব পড়ে সেই ধরনের মামলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না মক্কেলদের। আর এমনিতেও মামলার লাইভ করা হয়। ফলে যাঁদের প্রয়োজন তাঁরা যাতে সেই লাইভ দেখেই নিজেদের কৌতূহল মেটান তাঁরই পরামর্শ দিলেন তিনি।

Leave a Comment