ফের বন্ধ হল নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ! গুরুতর অভিযোগ জমিদাতাদের

nandigram station

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ নন্দীগ্রাম (Nandigram) ও অশান্তি, যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। এই নন্দীগ্রামে অশান্তি যেন থামতেই চাইছে না, কিছু না কিছু ইস্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়েই উঠছে। এর ফলে অতিষ্ঠ সেখানকার সাধারণ মানুষও। এবার অশান্তি বাধল নন্দীগ্রামের রেল প্রকল্প (Nandigram Rail Project) নিয়ে। অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণ করেও প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দেয়নি রেল, ফলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে সামিল হলেন। সেইসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল রেল প্রকল্পও।

ফের বিক্ষোভ নন্দীগ্রামে

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নন্দীগ্রামে রেলপথ তৈরির ঘোষণা করেছিলেন। মূলত নন্দীগ্রাম থেকে বাজকুল অবধি প্রায় ৮ কিলোমিটার সম্পন্ন রেলপথ তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে কথাই সাড় হয়েছিল। এরপর গত ২০২৩ সালে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে ফের একবার তৈরি হয় রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ। কিন্তু ২৬-এর ভোটের মুখে ফের একবার জমিদাতাদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র।

থমকে গেল রেলের কাজ

রেল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও চাকরি দেয়নি। এদিকে রেলপথ তৈরির কাজও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছিল। কিন্তু এবার ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবিতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন খোদ জমিদাতারাই। জমিদাতাদের দাবি, প্রতিটি পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রেল। কিন্তু বহু পরিবারেই কারও নাকি এখনও চাকরি হয়নি!

এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন তুঙ্গে উঠেছে। একদিকে শাসক দল তৃণমূল দাবি করছে, রেল প্রকল্পে যাঁরা জমি দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নিচ্ছেন না শুভেন্দু। কেন্দ্রে বিজেপির সরকার থাকা সত্ত্বেও মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে বঙ্গ বিজেপির দাবি, অধিকাংশ পরিবারকে ইতিমধ্যেই চাকরি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের নথি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। সমস্যা মিটলেই চাকরি মিলবে। এখন দেখার ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের মুখে জমিদাতাদের সমস্যা মেটে কিনা।

Leave a Comment