অভিষেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা! রায় সংরক্ষিত রাখল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট

Abhishek Banerjee

প্রীতি পোদ্দার, জবলপুর: দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে। এমনকি কেন্দ্রের প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এমনকি আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক দলনেতা। তাই সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুগম্ভীর। এমতাবস্থায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) একটি মানহানি মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি অভিষেকের বিরুদ্ধে

রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে কলকাতায় এক জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়কে ‘গুণ্ডা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। আর সেটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি আকাশ বিজয়বর্গীয়, তাই তিনি ভোপালের এমপি-এমএলএ আদালতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। এই মামলার শুনানির জন্য আদালতে বারংবার অভিষেকের তলব করা হলেও সে প্রতিবারই অনুপস্থিত ছিলেন। শেষে এমপি-এমএলএ আদালত তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তবে আদালতের এই আদেশকে গ্রহণ না করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।

পাল্টা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি-এমএলএ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে করা আদেশের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ করে বিচারককে যুক্তি দিয়েছিলেন, তিনি সন্মানীয় একজন সংসদ সদস্য তাই সেক্ষেত্রে তাঁর পলাতক থাকার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তিনি শুনানির সময় উপস্থিত না থাকায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, আদালত আবেদনটি বিবেচনা না করেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অভিষেক আরও দাবি করেন যে, তিনি ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেও আদালতে হাজিরা দিতে ইচ্ছুক।

আরও পড়ুন: স্কুলে ভর্তি হতে লাগবে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র? কৃষ্ণনগরে বিতর্ক

রায় সংরক্ষিত মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের

গতকাল অর্থাৎ বুধবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি প্রমোদ কুমার আগরওয়ালের একক বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি শুরু হলে দুই পক্ষই যুক্তি প্রেরণ করে। আসলে অভিষেকের এই চ্যালেঞ্জের মূল দাবি ছিল, আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, তাঁর আবেদনটি প্রথমে বিবেচনা করা উচিত ছিল এবং তারপরেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। শেষে উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর হাইকোর্টের বিচারক এই বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেছে। এদিন মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন আইনজীবী অনিল খারে এবং মানন আগরওয়াল।

Leave a Comment