খিচুড়িতে মিলল সাপের খোলস! অসুস্থ ২০ শিশু! ধুন্ধুমার কাণ্ড নদীয়ার অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে

Snake Skin Found In Anganwadi Meal

প্রীতি পোদ্দার, নদীয়া: আরশোলা, ব্যাং এবং টিকটিকির পর এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বানানো খাবারে মিলল সাপের খোলস (Snake Skin Found In Anganwadi Meal)! আর সেই খাবার খেল অসংখ্য শিশু! বুধবার এই ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়া ব্লকের ডোমপুকুর এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। প্রায় ২০ জন শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হয় নদিয়ার গ্রামে। আর তাতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের খাদ্যসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুললেন স্থানীয়েরা।

খিচুড়িতে পাওয়া গেল সাপের খোলস

স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ বুধবার নদিয়ার চাপড়া ব্লকের ডোমপুকুর এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বিতরণ করা খিচুড়িতে উদ্ধার সাপের খোলস। এদিন সকালে ডোমপুকুর গ্রামের ফারজিনা খাতুন নামে এক মহিলা তাঁর সন্তানদের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি সংগ্রহ করেন। সেই খিচুড়ি সন্তানদের দেওয়ার সময় তিনি দেখতে পান, খাবারের মধ্যে কিছু একটি পড়ে রয়েছে! ভালো করে তা দেখতেই দেখা যায়, খিচুড়িতে পড়ে রয়েছে একটা সাপের খোলস। ওই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফারজিনা খাতুন। দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে, কিন্তু তাও দেরি হয়ে যায়, ততক্ষণে ওই বিষাক্ত খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছেন অনেকে। শেষ আপডেট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ২০টি শিশুকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

সতর্কতার জন্য মাইকিং প্রচার

ডোমপুকুর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। স্থানীয়দের দাবি, শীঘ্রই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। জানা গিয়েছে ওই বিষাক্ত খিচুড়ি খেয়ে পেটে ব্যথা এবং বমির মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে শিশুরা। এই খিচুড়ি যাতে আর কেউ না খায় তার জন্য রীতিমত মাইকিং করে প্রচার শুরু করেন স্থানীয়েরা। ঘোষণা করা হয়, কেউ যাতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া খিচুড়ি না খান। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেশ কয়েকজন শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিধায়ক পদ খারিজ মুকুলের! বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

নদিয়ার চাপড়া ব্লকের ডোমপুকুর এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় চাপড়া ব্লকের শিশু সংহতি বিকাশ দপ্তর। সেখানকার এক আধিকারিক বাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘খাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর সাপের খোলস পাওয়ার অভিযোগ এসেছে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। সুপারভাইজারের মাধ্যমে ঘটনার তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে।’’ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাপের খোলসে সরাসরি কোন বিষ থাকে না। তাই এটাকে বিষাক্ত বলা ঠিক নয়। তবে সাপের খোলস পেটে গেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। আর তাতেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

Leave a Comment