সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সত্যি করে হু হু করে কমছে বাংলার তাপমাত্রা। ইতিমধ্যে দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বীরভূম কালিম্পং-কে টেক্কা দিচ্ছে ঠান্ডার নিরিখে। এ বলে আমাকে দ্যাখ, ও বলে আমাকে দ্যাখ। যাইহোক, আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত কলকাতা, হাওড়া, পুরুলিয়া সহ দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঠান্ডার আমেজ ভালো মতো থাকবে। আজ শুক্রবারও যার ব্যতিক্রম ঘটবে না। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেবেন আজ কোন কোন জেলায় ঠান্ডার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে সে ব্যাপারে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
প্রথমেই আসা যাক দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া (Weather Today) সম্পর্কে। আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ কনকনে ঠান্ডা থাকতে পারে যথারীতি পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এই প্রতিটি জেলার পারদ ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন এত ঠাণ্ডা পড়ছে এই নভেম্বর মাসে? এক্ষেত্রে বিভিন্ন হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শক্তিশালী নিম্নচাপ বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা না থাকার কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে এখনই এত খুশি হওয়ার দরকার নেই বললেই চলে।
জানলে অবাক হবেন, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে শীতলতম স্থান হিসেবে উঠে এসেছে বীরভূমের শ্রীনিকেতনের নাম। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, হাওড়ার উলুবেরিয়া সমস্ত অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া প্রসঙ্গে। শুক্রবার ঠান্ডা বিরাজ করবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায়। উত্তরবঙ্গের সমতল অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
ফের নিম্নচাপের সম্ভাবনা
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২০ নভেম্বরের পর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে জলীয় বাষ্প গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর প্রবেশ করবে এবং উত্তরে হাওয়াকে আটকে দেবে। যদিও আবার নভেম্বরের শেষের দিকে কিংবা ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে বহু জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারেও বলে খবর।