প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের সাত পাঁকে বাঁধা পড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জন বার্লা (John Barla Got Married)! নিঃসঙ্গতা কাটাতে নিলেন বড় সিদ্ধান্ত। গত ২৩ এপ্রিল প্রয়াত হন তাঁর স্ত্রী মহিমা বার্লা। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিল জন বার্লা সহ গোটা পরিবার। এরপর পরিবারের শূন্যতা এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা অসুবিধা মাথায় রেখে দুই পরিবারের সম্মতিতেই প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর সাত মাসের মাথায় ফের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা।
দ্বিতীয় বিয়ে জন বার্লার
রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা বিয়ে করেছেন দলগাঁও চা বাগানের দলমণি ডিভিশনের মঞ্জু তিরকের সঙ্গে। মঞ্জু দেবী ডিমডিমার সেন্ট মারিয়া গরেতি ডিমডিমা গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে দুই পরিবারের সম্মতি নিয়েই গত ১১ নভেম্বর আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছেন তাঁরা। আইনি বিয়ে করলেও তাঁদের পরিকল্পনা খুব শীঘ্রই তাঁরা সামাজিক বিয়ে করবে। নতুন দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডুয়ার্সের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। দ্বিতীয়বার বিয়ে নিয়ে জন বার্লা বলেন, “আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে নিঃসঙ্গতার মধ্যে ছিল। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া থেকে দৈনন্দিন কাজ সব কিছুতেই সমস্যা হচ্ছিল। তাই আলোচনা করেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগিরই সামাজিক বিয়ে হবে।”
শুভেচ্ছা বার্তা রাজনীতিবিদদের
জন বার্লার দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “শুনেছি উনি বিয়ে করেছেন। নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা। তবে এটা একজন মানুষের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে বেশি কিছু মন্তব্য করা ঠিক নয়।” আলিপুরদুয়ারের বর্তমান সাংসদ মনোজ টিগগারও বলেন, “আমিও খবর পেয়েছি, কিন্তু বিস্তারিত জানি না। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। এই বিষয়ে আমি আর কী মন্তব্য করব! ওনারা ভালো থাকুন।”
আরও পড়ুন: “আমাদের লোকরা ভোটার লিস্টে ঠিক নাম উঠিয়ে দেবেন!” SIR নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য অনুব্রতর
উল্লেখ্য, ডুয়ার্সের রাজনীতিতে জন বার্লা এক অত্যন্ত পরিচিত রাজনৈতিক মুখ, বরাবরই ডুয়ার্স বাসী তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতার সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৯ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়ে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। এমনকি পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পান বার্লা। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী না করায় দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। সম্পর্কের নানা টানাপোড়েন দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।