প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের বিধ্বংসী আগুন বড়বাজার থানা এলাকার এজরা স্ট্রিটে (Massive Fire In Ezra Street)! ভোররাতে লেগে যাওয়া আগুনের গ্রাসে একের পর এক বিল্ডিং। কোনওভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। উল্টে আগুনের তীব্রতা এতটাই বাড়ছে যে তাঁকে নিয়ন্ত্রন করা বেশ চাপের হয়ে যাচ্ছে দমকল কর্মীদের কাছে। এই পরিস্থিতিতে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়াল পথচারী ও এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে কলকাতার বড়বাজার থানা এলাকার এজরা স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরা।
ভয়ংকর আগুন এজরা স্ট্রিটে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ শনিবার, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এজরা স্ট্রিটের বহুতলে প্রথমে একটি বৈদ্যুতিন সামগ্রীর গোডাউনে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেই আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে ঘিঞ্জি বহুতলে। শুধু ওই বহুতলই নয়, আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়দের নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। তড়িঘড়ি একে একে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এছাড়াও আশেপাশের বাসিন্দারাও বালতি, পাইপ, বোতলের জল দিয়ে আগুন নেভানোর জন্য এগিয়ে এসেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর দমকল কর্মী
আজ সকাল থেকেই এজরা স্ট্রিটে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে আগুন নেভানোর কাজ। আগুনের তাপ এমনই তীব্র যে দমকলকর্মীদের ঢুকতে কষ্ট হয়েছে। তবে অগ্নিদগ্ধ গোডাউনের ভিতরে আর কেউ আটকে নেই বলেই দমকলের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে বহুতলটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি হওয়ায় সেখানে আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিল দমকল কর্মীদের। তার কারণ যেহেতু ভোরবেলা আগুন লেগেছে তাই ওই বহুতলে থাকা বহু দোকান এখন তালাবন্ধ, তাই আগুনের উৎস খুঁজে পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলেই খবর। যার ফলে আশেপাশের বিল্ডিংগুলিতেও আগুনও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বিহারে NDA-র জয়ের আনন্দ করায় গ্রেফতার বিজেপি নেতা! উত্তপ্ত দিনহাটা
মেয়রের প্রতি অভিযোগ বিজেপি নেতার
বেলাগাম আগুনের তাণ্ডবে গোটা বড়বাজারজুড়ে এখন কার্যত হাহাকার। দমকলের সঙ্গে আগুন নেভানোর লড়াই চালাচ্ছে ব্যবসায়ীরা, দোকানকর্মীরা এবং এলাকার বাসিন্দারা। এজরা স্ট্রিটের এই বাজারে রয়েছে প্রায় ৩০০–৩৫০টি ইলেকট্রিক ও লাইটের দোকান। সমস্ত দোকানের মালপত্র আগুনে রীতিমত ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মতে, এই আগুনে কয়েকশো কোটি টাকার পণ্য পুড়ে গিয়েছে কম বেশি সকলের। এদিকে গোটা ঘটনায় মেয়রকে দায়ী করেছে কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। তিনি বলেন, এই বহুতলটিতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বারবার কলকাতা পুরসভার মেয়র-সহ একাধিক ব্যক্তিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সুব্যবস্থার জন্য কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি।