বক্সারের বিধায়ক বাংলায় ছেলে! বিহার নির্বাচনে বড় জয় উত্তরপাড়ার আনন্দর

Anand Mishra

প্রীতি পোদ্দার, উত্তরপাড়া: বহু অপেক্ষার অবসানের পর গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিহারে প্রকাশিত হয়েছে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে এবার ধামাকা ফলাফল করল NDA। ২০০-র বেশি আসন এনডিএ-র ঝুলিতে। খাতা খুলতে পারেনি জন সুরজ। কোনওরকমে ‘শূন্য’ হতে হতে বেঁচেছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় বিজেপির হয়ে জিতে বিধায়ক হলেন বঙ্গের উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বাসিন্দা এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আনন্দ মিশ্র (Anand Mishra)।

বিহারে বিধায়ক হলেন বঙ্গের আনন্দ

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিহারে বক্সার সদর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে জিতেছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আনন্দ মিশ্র। তিনি আদতে হুগলির উত্তরপাড়ার মাখলার তেঁতুলতলার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চুয়াল্লিশের আনন্দের বাবা পরমহংস মিশ্র হিন্দুস্থান মোটরস কারখানার কর্মী ছিলন। আনন্দের পড়াশোনা এইচএম এডুকেশন স্কুলে। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হন। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিশ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন। এরপর ২০১১ সালের আইপিএস আনন্দ অসমে কর্মরত ছিলেন।

IPS-এর চাকরি ছেড়ে রাজনীতির যাত্রা আনন্দের

আনন্দ মিশ্রর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই অদম্য জেদ এবং অধ্যাবসায় প্রতিনিয়ত আনন্দকে শক্তিশালী করে তোলে। নব্বইয়ের দশকে উত্তরপাড়ার ক্যারাটে প্রশিক্ষক সেনসাই প্রসেনজিৎ মুখার্জীর হাত ধরে ক্যারাটেতে যোগদান করেছিলেন। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আনন্দ মিশ্রাকে। নওগাঁ, লখিমপুর-সহ কয়েকটি জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্বও সামলেছেন কিন্তু তিনি যখন আইপিএস-এর চাকরি ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান করতে চেয়েছিলেন তখন সকলেই তাঁকে বারণ করেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত নিজের ইচ্ছার প্রতি মর্যাদা দিয়ে আনন্দ প্রথম প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে জন সুরাজ পার্টিতে ছিলেন। পরে, সে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আজ সেই আনন্দ মিশ্রা বিহারের বক্সার থেকে জয়ী হয়েছেন। সকলেই তাঁর এই জয়ে যেন গা ভাসিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বড়বাজারে বিধ্বংসী আগুন! অসহায় দমকলের ২০টি ইঞ্জিনও! পুড়ে ছাই এজরা স্ট্রিটের বহু দোকান

খুশি আনন্দের পরিবার

আনন্দ মিশ্রর আত্মীয়স্বজন থেকে পাড়া প্রতিবেশী সকলেই খুশি নির্বাচনের এই সাফল্যে। প্রতিবেশী তথা বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, ‘‘ওঁর জন্য গর্বিত। এত দিন পুলিশকর্তা হিসেবে গর্ব ছিল। এ বার বিধায়ক হলেন বলে ভাল লাগছে।’’ এই বিষয়ে আনন্দের শ্যালক পবন তিওয়ারি বলেন, ‘‘ এখানে তিনি মাঝেমধ্যেই আসেন। লোকসভা ভোটের আগে, চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন।’’ ব্যাপক এই সাফল্যের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য প্রথম দিকে আনন্দ মিশ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে তিনি স্বল্প কথায় জানান, “আমি বাকিটা জীবন মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।”

Leave a Comment