গরমের ছুটিতেও স্কুলে আসতে হবে শিক্ষকদের! অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের দফতর থেকে এল বিশেষ নির্দেশিকা! দিন যত এগোচ্ছে ততই যেন গরমের দাপট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সঙ্গে আবার ভয়ংকর তাপপ্রবাহ। এইসময় স্কুল কলেজে অফিসে যাওয়া রীতিমত দুষ্কর হয়ে ওঠে। তাই গরমের ছুটির অপেক্ষায় বসে থাকে পড়ুয়ারা। যাতে সেই কদিন অন্তত শান্তিতে বাড়িতে থাকা যায়। কিন্তু সেই পরিকল্পনাও এবার পাল্টাতে হচ্ছে। কারণ গরমের ছুটিতেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি একান্তই কাম্য।
গরমের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার নানা প্ল্যানিং করে থাকে সকলে। কিম্বা বিশেষ প্ল্যানিং প্রোগ্রাম। কিন্তু সব প্ল্যানই এবার ভেস্তে যেতে চলেছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। কেননা, গরমের ছুটির ওই কয়েকটা দিন অবশ্যই স্কুলে হাজিরা দিতে হবে তাঁদের। আর এই সময়ে পড়াশোনায় দুর্বল পড়ুয়াদের বিশেষ ক্লাস নিতে হবে। তবে সেই নির্দেশিকা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য নয়। এটি প্রযোজ্য হতে চলেছে বিহারে।
গরমের ছুটিতেও স্কুল!
বিহারের সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে। শিশুদের জন্য এক মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা বিভাগ। কিন্তু স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মের ছুটি থাকলেও শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পাঠকের দফতর থেকে শিক্ষকদের গ্রীষ্মের ছুটিতে নিয়মিত স্কুলে আসার নির্দেশনা জারি করেছেন। নিয়মিত খোলা থাকবে হবে স্কুল। বিশেষ ক্লাস নিতে হবে পড়াশোনার দুর্বল পড়ুয়াদের। গত শনিবার অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল এমনই আদেশ জারি করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার কুন্দন কুমার। সেখানে বলা হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি স্কুল প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলবে। এতে সকল শিক্ষকের স্কুলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার জেলা শিক্ষা আধিকারিক সব ব্লক শিক্ষা আধিকারিকদের একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কে কে পাঠকের অফিস থেকে জারি করা করা নির্দেশে বলা হয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য এবং অনুপস্থিত শিশুদের প্রতিদিন এই বিশেষ ক্লাসে পড়ানো হবে। এ ছাড়া অন্য কোনও শিশুও এই বিশেষ ক্লাসে লেখাপড়া করতে চাইতে তা করতেই পারে। ক্লাস শেষে শিশুদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।