কখনও কি দেখেছেন রেললাইনে তিনটি ট্র্যাক থাকে? নিশ্চয়ই বলবেন না। আসলে ভারতে প্রতিটি স্টেশনের রেললাইনে দুটি করে ট্র্যাক থাকে। কিন্তু এমন একটি দেশ আছে, যেখানে রেললাইনে তিনটি করে ট্র্যাক থাকে। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? তবে বাস্তবে এটাই সত্যি। কিন্তু জানেন কি কেন এমন ব্যবস্থা করা হয়? তাহলে চলুন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সবটা জেনে নিন বিস্তারিত।
কোন দেশে দেখা যায় তিনটি ট্র্যাক?
দেশের বিভিন্নস্থানে রেললাইন ছড়িয়ে আছে। যার মাপ বিভিন্নপ্রান্তে আলাদা হয়। তার কারণ কিন্তু একটাই। আসলে রেল ট্র্যাকগুলি গেজের হিসেবে তৈরি করা হয়। তার প্রমাণ হল দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন চলে ন্যারো গেজ দিয়ে অর্থাৎ সরু ট্র্যাকের উপর দিয়ে। কিন্তু বাদ বাকি ট্রেনগুলো চলে ব্রড গেজ দিয়ে অর্থাৎ চওড়া ট্র্যাকের উপর দিয়ে। তবে একমাত্র এমন একটি দেশ আছে, যেখানে ট্রেন যাতায়াত করে তিনটি ট্র্যাকের উপর দিয়ে। আর সেই দেশটি হল বাংলাদেশ।
রেলের ট্র্যাক তিনটি কেন?
আসলে রেলের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রথম থেকেই ট্রেনগুলো মিটার গেজের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিবেশী দেশে মোট ২ হাজার ৮৫৫ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে। এর মধ্যে ১৮৩৮ কিলোমিটার রেললাইন মিটার গেজের। অন্যদিকে ৬৮২ কিলোমিটার রেলপথ ব্রডগেজের।
খরচ কমায় এই তিনটি ট্র্যাক
কিন্তু কোনো কারণে যদি মিটারগেজ বন্ধ করে সমস্ত ব্রডগেজ করা হয়, তাহলে লোকোমোটিভ থেকে শুরু করে কোচ পরিবর্তন এবং পুরো কাঠামোগত পরিবর্তন করতে হয়। যা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। তাই তারা একটা স্লিপারের উপর তিনটি করে ট্র্যাক ফেলেছে। দুটি ট্র্যাক কাছাকাছি আর একটা ট্র্যাক সামান্য দূরে। ফলে তিনটি ট্র্যাকের মাধ্যমে মিটারগেজ ট্রেন ব্রডগেজ ট্রেনগুলো চলাচল করতে পারে সহজেই। এই পদ্ধতিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় অনেকে মিশ্র গেজ বা ডুয়াল রেলওয়ে ট্র্যাকও বলেও। এই কারণের জন্যই ভারত থেকে আসা ট্রেন সহজেই বাংলাদেশে পৌঁছতে পারে।