খরচ ১২০০, গরমের ছুটিতে উত্তরবঙ্গের অল্প চেনা এই হিল স্টেশনগুলিতে গেলেই মন খুশ

Published on:

north-bengal

তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। সঙ্গে বইছে লু। এই পরিস্থিতিতে মন চায় পাহাড়ে ঘুরে আসতে। তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় লম্বা ছুটির। তবে চিন্তা নেই। এখন হাতে মাত্র তিন-চার দিন সময় বার করে নিলেই হবে। আর ঘুরে আসতে পারবেন পাহাড়ের নানা অফবিট জায়গায়। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নিন দার্জিলিংয়ের নানা অফবিট জায়গার নাম।

ধোত্রে

সান্দাকফু ট্রেকিং রুটেই পড়ে ধোত্রে। দার্জিলিং থেকে ধোত্রের দূরত্ব ৪৩ কিলোমিটার। কাঞ্চনজঙ্ঘার ফুল ভিউ দেখতে হলে এটি অন্যতম এক পাহাড়ি গ্রাম। সঙ্গে রয়েছে ট্র্যাকিং এর সুযোগ। অসাধারণ ভিউ এবং নাম না জানা হরেক পাখির দেখা মিলবে এখানে। নির্জনে, নিরিবিলিতে দিন কাটানোর জন্য এক ও অন্যতম হল এই ধোত্রে। সরাসরি এনজিপি ও বাগডোগরা থেকে গাড়িতে চলে আসতে পারবেন ধোত্রে তে ।

WhatsApp Community Join Now

তাকদা

তাকদা কথার অর্থ ‘কুয়াশা’। দেখলেই মনে হয় কে যেন এক সাদা আস্তরণ বিছিয়ে দিয়েছে জায়গাটার উপর। এমন শান্ত ও নিরিবিলি জায়গাতে শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না। তবে চা এবং পাইন গাছের সমারোহ চোখ জুড়িয়ে দেবে। ইংরেজ আমলে এটি ছিল ব্রিটিশদের ছুটি কাটানোর একটি বিশেষ জায়গা। এখানে ক্রশিং ভিউ পয়েন্ট থেকে টাইগার হিল, দূরপীন দেখতে পারবেন।

আরও পড়ুন : ভোর ৪ টেয় দীঘা! হাওড়া বা শিয়ালদা নয়, ট্রেন ছাড়বে এই স্টেশন থেকে! ঘোষণা রেলের

চটকপুর

দার্জিলিং থেকে চটকপুরের দূরত্ব মাত্র ২৬ কিলোমিটার। এখানে ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময় হল ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। উইকেন্ডে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এবং শহরের কোলাহল থেকে দূরে, পাহাড় ঘেরা ছোট্ট এই গ্রামে একবার ঘুরে আসাই যায়। এখানে ওয়াচ টাওয়ার থেকে সান্দাকফু সব জায়গায় ঘুরে আসা যায়।

বলে দিই, প্রতিটি হিল স্টেশনেই আপনি হোমস্টে পেয়ে যাবেন। সেখানে থাকা থেকে খাওয়া সব বন্দোবস্তই থাকবে। আর এই হোমস্টেগুলিতে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ এর মতো মাথা পিছু খরচ হবে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন