স্কুল ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে যাওয়া? এবার কড়া ব্যবস্থা নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনেক সময় দেখা যায় বাবা মায়েরা সন্তানকে স্কুলে পাঠালেও বেশ কিছু সন্তান স্কুলে না গিয়ে ঘুরতে চলে যায় বন্ধুদের সঙ্গে। পরে তাদের নানা বিপদে পড়তে হয়। তবে এবার থেকে স্কুল কামাই করা রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সরকারের পক্ষ থেকে। এখন থেকে স্কুলের নাম করে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ হবে।
এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই শিক্ষাব্যবস্থার মান পরিবর্তন হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালের পর থেকে এই পরিবর্তন আরও স্পষ্ট হয়ে চলেছে। সিলেবাস পরিবর্তনের পাশাপাশি পরীক্ষার প্যাটার্ন সবই পরিবর্তন হয়েছে। আর এর মাঝেই কিছু বাচ্চাদের দেখা যাচ্ছে বাড়ি থেকে স্কুলের নাম করে বেরোচ্ছে ঠিকই কিন্তু স্কুলে পৌঁছাচ্ছে না। আর এতে শিক্ষার দিক থেকে তারা আরও পিছিয়ে পড়ছে। তাই এবার সেই সমস্যার কঠিন মোকাবিলা করল রাজ্য সরকার।
স্কুলের নয়া সংযোজন
পড়ুয়াদের এই মিথ্যে কারসাজি রুখতে এবার শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে আনা হল এক নয়া সংযোজন। সেটি হল QR Code Attendance। অর্থাৎ এবার QR Code -এর মাধ্যমে উপস্থিতি দিতে হবে পড়ুয়াদের। যদি কোনও পড়ুয়া স্কুলে ফাঁকি দিয়ে কোথাও চলে যায় তাহলে সেটা অনায়াসেই জানতে পেরে যাবেন তাঁদের অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে এই মুহূর্তে কয়েকটি স্কুলে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। ইতিমধ্যে কিউআর কোড অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতিটি চালু হয়েছে।
কীভাবে কাজ করে এই ডিভাইস?
সেখানে নিয়ম অনুযায়ী পড়ুয়া, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীসহ সকলককেই QR Code-এর মাধ্যমে নিজের উপস্থিতি জানাতে হবে স্কুলকে। এমনকি যখন পড়ুয়ারা স্কুলে ঢুকবে তখন স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে আই কার্ডের পিছনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। সফলভাবে স্ক্যান হয়ে গেলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতি হবে। এছাড়াও একটি অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য মেসেজ আকারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে অভিভাবকদের মোবাইল নম্বরে। সেই উপস্থিতির কথা লেখা থাকবে স্কুলের ডাইরিতেও।