ডবল লাভ, মিলবে বিশাল সুদ! কেন্দ্রের এই প্রকল্পে একবার বিনিয়োগ করলেই মালামাল

Published on:

Post Office Time Deposit Scheme

কম টাকায় বেশি রিটার্ন দিচ্ছে পোস্ট অফিস! মোটা টাকা সুদে দ্বিগুণ লাভ হবে এবার গ্রাহকদের! বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে যেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম আকাশছোঁয়া সেখানে সকলেই চায় ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ করতে। তাই সেক্ষেত্রে ঝুঁকিহীন বিনিয়োগের জন্য অনেকেই ফিক্সড ডিপোজিট, LIC এবং পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিম বেছে নেন। তবে সম্প্রতি ব্যাঙ্ক FD-তে সুদের হার ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। তাই বিকল্প হিসেবে অনেকেই পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে। তাই আজকের প্রতিবেদন আপনাদের জন্য পোষ্ট অফিসের এমন একটি স্কিম সম্পর্কে জানাতে চলেছে যা এইমুহুর্তে সেরা সঞ্চয় প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আর সেটি হল পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট প্রকল্প।

এই প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য

  • এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে সাধারণ মানুষ 6.7 শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাবে।
  • তবে প্রবীণ নাগরিকরা এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে 7.4 শতাংশ সুদের হার পাবে।
  • এখানে 1000 টাকা বিনিয়োগের পর যতখুশি বিনিয়োগ করা যাবে।
  • এই প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বদা 100 টাকার গুনিতকে টাকা জমা দেওয়া হয়।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার প্রথম 6 মাস থেকে 1 বছর চালু রাখতেই হবে। নইলে 2 শতাংশ সুদের হার কেটে বাকি টাকা দেওয়া হবে।
  • এই স্কিমে একক বা যৌথ মোডে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
  • যৌথ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
  • এই স্কিমে বছরে সুদ দেওয়া হবে।
  • আয়কর ছাড়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে যা আয়করের ধারা 80C এর অধীনে পাওয়া যাবে। 1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা রয়েছে।
  • কোনো কারণে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু হলে নমিনি সব টাকা পেয়ে যাবে।

মেয়াদ

পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম চার ধরনের মেয়াদে অফার করা হয়। যথা 1 বছর, 2 বছর, 3 বছর এবং 5 বছর। এটি বিনিয়োগকারীকে তাদের পছন্দের উপর নির্ভর করে স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী স্কিমে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেয়। ডিপোজিট স্কিমের মেয়াদের উপর নির্ভর করে সুদের হারও আলাদা হয়। 1 বছরের হিসেব অনুযায়ী সুদের হার হয় 5.5%। 2 বছরের ক্ষেত্রে হয় 5.5%। 3 বছরের ক্ষেত্রে 5.5% এবং 5 বছরের ক্ষেত্রে সুদের হার হয় 6.7%।

WhatsApp Community Join Now

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি

  • আবেদনকারীর পরিচয় পত্র।
  • আবেদনকারীর ঠিকানার প্রমাণপত্র
  • আধার কার্ড
  • রেশন কার্ড
  • পাসপোর্ট
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • প্যান কার্ড
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ডিপোজিট স্কিমের জন্য আবেদনপত্র।
বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন