প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি শিক্ষা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই নানা আন্দোলন হয়েছিল। এরপরেই শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর। কিছুদিন আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ইন্টারভিউতে ডাক পাননি অনেক নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। তাই এবার ফের রণমূর্তি ধারণ করল চাকরিপ্রার্থীরা। শূন্যপদ বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর বাতিলের দাবিতে আজ বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) অভিযানের ডাক দিলেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনের ডাক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের
স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) কর্তৃক একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরেই নতুন করে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। সদ্য প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, একাধিক নতুন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে ৬০, ৫৮ বা ৫৯-এর মতো স্কোর করেছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই আশা করা হয়েছিল যে, তাঁরা ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্বাচিত হবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, ইন্টারভিউ-এর তালিকায় তাঁদের নাম নেই। এই ঘটনায় তাই ব্যাপক হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও কেন তাঁরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন উঠছে প্রশ্ন, আর তাই এবার সুবিচারের দাবিতে সোমবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিলেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনে মূলত তিনটি দাবি
বিকাশ ভবনে আজ আন্দোলনকারীরা যে আন্দোলন করতে চলেছে, তার মধ্যে মূল তিনটি দাবি রয়েছে। সেগুলি হল, অভিজ্ঞতা ১০ নম্বর বাদ দিতে হবে, স্বচ্ছতা আনতে সকল প্রার্থীদের ওএমআর প্রকাশ করতে হবে এবং একাদশ দ্বাদশ ও নবম দশম শূন্য আসন বৃদ্ধি করতে হবে। আর এই তিনটি দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, ‘‘ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা আমাদের অঙ্গীকারের স্বচ্ছ, সুদৃঢ ও দায়বদ্ধতার আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি আমাদের আন্তরিক বার্তা ভরসা রাখুন, ভরসা থাকুক।’’
আরও পড়ুন: হাই অ্যালার্ট শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশনে
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক নতুন এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, অভিজ্ঞদের জন্য যে নম্বর দেওয়া হচ্ছে, তা শুধুমাত্র ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের জন্য নয়, পার্শ্বশিক্ষকদেরও দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আমরা যারা শুধুমাত্র মেধার জোরে ভালো ফল করেছি, তারা এক বৈষম্যমূলক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছি। তাই আমাদের স্পষ্ট দাবি, এই বৈষম্যমূলক নিয়ম অবিলম্বে বাতিল করা হোক এবং সকলের জন্য এক নিয়ম জারি করা হোক।