কুয়ো খুঁড়তেই কালো সোনা! এক নতুন খনির সন্ধান পেল বাংলা 

Published on:

coal

জলের বদলে বেরিয়ে এল কয়লা! বাংলার বুকে আবিষ্কার হল আরেক কয়লাখনির ভান্ডার! দিন যত এগোচ্ছে গরম ততই যেন প্রকট রূপ ধারণ করছে। আর তার সঙ্গে চারিদিক থেকে খবর আসছে পানীয় জল সংকটের। কোথাও টাইম কলের জলের সময়সীমা কমে গেছে তো কোথাও গরমের তাপে পানীয় জলের পাইপ ফেঁটে গেছে। এমনই সমস্যার মুখে পরে সমাধান বের করতে গিয়েই সেখানকার বাসিন্দারা আবিষ্কার করে ফেলল এক নতুন দিগন্ত।

সূত্রের খবর, আসানসোলের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কুয়ো খোঁড়ার কাজ চালানো হচ্ছিল। গরম পড়লে প্রত্যেকবার আসানসোলে স্বাভাবিকভাবেই জলের সংকট দেখা দেয়। সেকারণেই সেখানে কুয়ো খোঁড়ার কাজ চলছিল। কিন্তু কিছুটা খোঁড়ার পরেই দেখা যায় মাটির নীচে সাজানো রয়েছে কয়লার স্তর। যা দেখে অবাক সকলে। সঙ্গে সঙ্গে সেই কলেজের অধ্যক্ষ বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত সেই কুয়ো খোঁড়ার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এবং গোটা বিষয়টি পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক ও পুরসভার মেয়রকে জানান।

WhatsApp Community Join Now

বাংলায় নতুন কালো সোনার সন্ধান!

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের লাইন থেকেই কলেজের হস্টেলে জল আসে। কিন্তু বর্তমানে গরমের দাপটে নানা কারণে জলের সমস্যা রয়েছে। এরপরই কুয়ো খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কলেজ এর পক্ষ থেকে। কিন্তু কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল কালো সোনা অর্থাৎ কয়লা। আসলে কয়লা হল দেশের জাতীয় সম্পদ। সেক্ষেত্রে সেই কয়লা বিনা অনুমতিতে কোনওভাবেই সরানো হলে তা বেআইনি হবে। সেকারণেই দ্রুত কলেজের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় উপরমহলে। জানা গিয়েছে প্রায় ২২ ফুট খোঁড়া হয়েছিল।

বাংলার নতুন দিগন্ত!

প্রসঙ্গত, বীরভূমের মহম্মদবাজারে মাটির নীচেও থরে থরে সাজানো আছে কালো সোনা। আর সেই কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া হল জমি হস্তান্তর করা। প্রথম ধাপের জমি হস্তান্তরে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে দেউচা পাঁচামি এলাকায় কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সরকার বুঝে শুনে এগোচ্ছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন