সুখবর রেশন গ্রাহকদের জন্য! কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থায় নিয়ে এল এক নয়া পরিবর্তন! রেশন কার্ড হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলির মধ্যে একটি। যার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। 1940 সালে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। যা দেশের প্রতিটি নাগরিকের খাদ্যের অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বছরের পর বছর ধরে চলছে। এই প্রকল্পের আওতায় একসময় উপভোক্তা অনুযায়ী বিনামূল্যে অথবা সস্তায় খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হলেও করোনাকাল থেকে পুরোপুরিভাবে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগ!
গ্রাহকদের রেশন ব্যবস্থায় নানা স্বচ্ছতা আনতে নানা পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। তাই এবারেও গ্রাহকদের সুবিধার্থে নেওয়া হল এক দরুন ব্যবস্থা। এখন থেকে রেশন দোকানগুলিকে নিউট্রিশন হাবে তৈরি করা হবে। রেশন দোকানগুলিতে নিউট্রিশন হাবে তৈরি করার ফলে শুধু চাল, গম নয়, এর পাশাপাশি পাওয়া যাবে দুধ, ঘি, ছানা সহ বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত সামগ্রী। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? তবে এটাই বাস্তব।
রেশন প্রকল্পে নয়া পরিকল্পনা
জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কর্পোরেট ধাঁচে রেশন দোকানগুলিকে নতুন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ‘পাইলট প্রজেক্ট’ ও তৈরি করা হয়েছে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের ১৫টি করে রেশন দোকানকে এমন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যে সকল রাজ্যের রেশন দোকানগুলিকে এইভাবে কর্পোরেট ধাঁচে নতুন রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তদের মধ্যে অন্যতম হল উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত এবং কর্ণাটক।
তবে খবর মারফৎ জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে এই পাইলট প্রোজেক্টের অংশীদার হিসেবে বাংলাকে বেছে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শুধু যে গ্রাহকদের সুবিধা হবে তা নয়, রেশন ডিলারদের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে অনেক মুনাফা হবে। যেমন গ্রাহকরা খুব সহজেই দুগ্ধজাত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী অনেকটা সস্তায় হাতের কাছে পেয়ে যাবে, ঠিক সেই রকমই রেশন ডিলাররা এই সকল খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে আলাদা ভাবে বাড়তি মুনাফা লাভ হবে।