IAS, এই পদে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে কার না ভালোলাগে। কিন্তু IAS হওয়া কোনো চাট্টিখানি ব্যপার নয়, তারজন্য প্রয়োজন হয় কঠোর পরিশ্রম এবং কঠিন অধ্যবসায়ের। তো সেই চাকরি পাওয়া এবং তারপর ছেড়ে দেওয়া মোটেই সহজ বিষয় নয়। তাও আবার IAS ছেড়ে সাধু হয়ে যাওয়া! এ যেন গল্পেই সম্ভব।
তবে সেই গল্পকে বাস্তব জীবনে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন সুনীল পট্টনায়েক। টানা ২৩ বছর ছিলেন IAS অফিসার। কিন্তু তারপর? তারপর সুনীল সংসারের সমস্ত মোহ মায়া ত্যাগ করেন। বেছে নেন সাধুর জীবনকে। তবে এই সিদ্ধান্ত যে রাতারাতি নিয়েছিলেন তা নয়, বহুদিন ধরেই সুনীল স্বামী শিবননন্দর শিক্ষায় অনুপ্রাণিত ছিলেন।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯০ সালে, তখন সুনীল পট্টনায়েক ঋষিকেশে গেছিলেন। সেসময়ই স্বামী শিবননন্দর আশ্রমে যান তিনি। আর পাঁচজন সাধারণ ভক্তের মতো গেলেও সেইসময় থেকেই সুনীলের জীবনে বড় পরিবর্তন আসে। ২৩ বছর ক্ষমতার শীর্ষে থাকার পর সমস্ত পার্থিব মোহ-মায়া ছেড়ে দেন তিনি। এখন সেই সুনীল ঈশ্বরের সাধনায় জীবনকে উৎসর্গ করে দেন। বর্তমানে তার নাম হয়েছে স্বামী নিলৃপ্তানন্দ।
কীভাবে সন্ন্যাসী জীবনের শুরু?
ঘটনার শুরু মুসৌরিতে। সেখানে ন্যাশনাল অ্যাকাদেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে IAS এর ট্রেনিং নিচ্ছিলেন তিনি। সেসময়ই এক সপ্তাহান্তে সুনীল তার দুই বন্ধুকে নিয়ে পৌঁছান ঋষিকেশে, শিবানন্দর আশ্রমে।ওই সফরই বদলে দেয় সুনীলের জীবন। তিনি বিয়ে করেননি। মাটির মানুষ ছিলেন তিনি। সামান্য চাদর পেতেই শুয়ে পড়তেন মাটিতে। তারপর অবশেষে সন্ন্যাস জীবনকেই বেছে নেন সুনীল পট্টনায়েক ওরফে স্বামী নিলৃপ্তানন্দ।