ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এক সৌরঝড়। বিষয়টি সম্পর্কে সারাবিশ্বকে সচেতন করে ‘স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার’। তারাই নিজেদের সতর্কবার্তায় জানায় যে, পৃথিবী শীঘ্রই G1 স্তরের ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের মুখোমুখি হতে পারে। উল্লেখ্য, এই ঝড়ের প্রভাবে অরোরাও তৈরি হতে পারে মেরু প্রদেশের আকাশে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সৌরঝড়ের কী কী সমস্যা হতে পারে।
সৌরঝড় ডেকে আনবে এই বিপদ
সবার প্রথমেই সমস্যা দেখা দিতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাতে। এর সাথে সমস্যা দেখা যাবে নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায়। বিষয়টি সম্পর্কে SWPC জানায় যে, এত শক্তিশালী ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি তখন হয় যখন সূর্য অনেক বেশি পরিমাণ শক্তি ছেড়ে দেয় মহাকাশে। আর তার প্রভাবে ইতিমধ্যেই মৃদু ঝড় শুরু হয়ে গিয়েছে। সোলার উইন্ড আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর বুকে।
সৌরঝড়ের সাথে সাথে ধেয়ে আসছে কোরোনাল মাস ইজেকশন। জানিয়ে রাখি, এটি কিন্তু সৌরঝড়ের সাথে আলাদা। সূর্য এখন তার সৌর চক্রের কার্যকলাপের শীর্ষে রয়েছে। সেখানে তার ১১ বছরের সময়কালের মধ্যে দিয়ে নিজের চৌম্বক ক্ষেত্রর মধ্যে দিয়ে যায়। সেখানে সূর্যের উত্তর এবং দক্ষিণ মেরুর পরিবর্তন হয়। আর এই সময় সূর্য বেশ কিছু শিখার প্রকাশ করে। এই শিখা পৃথিবীর ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
কয়েকদিন আগেই সূর্যের সানস্পট AR3663 থেকে বেশ বড় দুটি সৌরশিখা বেরিয়ে আসে এবং তার কারণে পৃথিবী ফায়ারিং লাইনে পৌঁছে যায়। গত ২ মে সূর্যে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে এবং সেটি ছিল X ক্লাস ফ্লেয়ার। স্পেস ডট কমের তথ্যানুসারে সৌর শিখাটির সবচেয়ে শক্তিশালী একটি শিখার বড় অংশ অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং চিনের বেশিরভাগ জায়গাতে শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুনঃ শিয়ালদহ স্টেশনে অদ্ভুত কাণ্ড! ছাগল নিয়ে ট্রেনে ওঠাই হল কাল, কত টাকা ফাইন হল মালিকের?
সূর্যেরদ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাতটি ঘটে গত ৩ মে। সেটি ছিল একটি M ক্লাস ফ্লেয়ার। উল্লেখ্য, এই CME হলো গিয়ে সূর্যের করোনা থেকে নিঃসৃত বিপুল পরিমাণ প্লাজমা এবং চৌম্বকক্ষেত্র। এই CME এর গতি বেশ ভালই। সেটি পৃথিবী পৌঁছাতে মোট ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। আর CME এর সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের। তখনই বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যা থেকে শুরু করে কৃত্রিম উপগ্রহ নষ্ট হয়ে যাওয়া, এসব ঘটতে পারে।