ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ভয়ংকর দুর্যোগ! ফের ট্রলার ডুবির ঘটনা খবরের শিরোনামে! এইমুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের এক দিকে বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে। আর একটি ঘূর্ণাবর্ত আছে মধ্যপ্রদেশের উপরে। এই দুই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প গাঙ্গেয় বঙ্গের পরিমণ্ডলে ঢুকছে। সেই কারণেই ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাই এই সময় উত্তাল ঢেউয়ের অশনি সঙ্কেত আগেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ঘটে গেল এক ভয়ংকর বিপদ।
জানা গিয়েছে গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণবোঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে ঝোড়ো ও দমকা হওয়া যেমন বেড়েছিল। তেমনই ঢেউও ঊর্ধ্বমুখী ছিল। যার দরুন ডুবে যায় ২০ টি নুন বোঝাই ট্রলার। ঘটনাটি ঘটে বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূলে সাঙ্গু নদীর মোহনায়।
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি!
ঘটনাটি ঘটে বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারা উপকূলে সাঙ্গু নদীর মোহনায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ওই ট্রলারগুলিতে ছিলেন কমপক্ষে ১০০ জন শ্রমিক।ট্রলারগুলোর দাম প্রায় দুই কোটি টাকা। এছাড়া সেখানে থাকা লবণের দাম হবে আরও এক কোটি টাকা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাংলাদেশের নৌ-পুলিশ ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় জোর কদমে উদ্ধারকাজ। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকিদেরকে এখনও খুঁজছে সকলে।
আরও পড়ুনঃ প্রবল বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের ২ জেলা, সঙ্গে কালবৈশাখীর তাণ্ডব! আজ খেল দেখাবে আবহাওয়া
এখনও ৭০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।উদ্ধার করা শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন- মহম্মদ জিয়া মাঝি, মহম্মদ আলী, মহম্মদ সোহেল, মহম্মদ মনচুর, জাবেদ আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মহম্মদ মানিক, নুরুল আমিন, মহম্মদ আনিস প্রমুখ।