ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলছে এখন ভোটের মরশুমে। দফায় দফায় চলছে ভোট প্রচারের ঠেলা। ঝড় বৃষ্টি রোদকে জাস্ট গুলি মেরে ময়দানে নেমে পড়েছে একের পর এক প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যেই হলফনামা জমা দিচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর বিপুল সম্পত্তির ভান্ডার।
চলতি বছর চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের হয়ে সিট দখলের অধিকারে নাম লিখেছেন মহুয়া মৈত্র। অন্যদিকে বিজেপির হয়ে লড়ছেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের কূলবধূ রানিমা অমৃতা রায়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দিয়েছে এই দুই প্রার্থী। তবে ভোটবাক্সে কে কাকে টেক্কা দিলেন, তা জানতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হলেও, সম্পত্তির নিরিখে কে এগিয়ে তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
মহুয়া মৈত্রর সম্পত্তি
জানা গিয়েছে বছর ৪৯ এর মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময় তাঁর হাতে নগদ ছিল ৫০ হাজার টাকা। একাধিক ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে মহুয়ার। কৃষ্ণনগর, কলকাতা এবং দিল্লির পাশাপাশি বিদেশেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর। লন্ডনে একটি ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। ওই অ্যাকাউন্টে তাঁর ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৫০ টাকা রয়েছে। শেয়ার বাজারেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। মহুয়ার ৩.২ ক্যারেটের হিরে রয়েছে। বর্তমানে যার বাজারদর ৮০ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গেই ১৫০ গ্রাম সোনা, রূপোর ডিনার সেট , রূপোর স্টি সেট এবং লক্ষাধিক টাকার গয়না রয়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর কোনও জমিজমা অথবা বাণিজ্যিক ভবন নেই। তবে অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৬৬ টাকা।
অমৃতা রায়ের সম্পত্তি
অন্যদিকে হলফনামা মোতাবেক ‘রানিমা’-র আয়ে চোখ বোলালে দেখা যায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তিনি আয় করেছিলেন ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট বর্ষে তাঁর স্বামীর আয় ২ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৪ টাকা। এই মুহূর্তে রানিমার হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ৫০ হাজার এবং তাঁর স্বামীর হাতে নগদ রয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। অমৃতা রায়ের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ৭৪৫.৬৭ টাকা। তাঁর কাছে ৪৫ গ্রাম সোনার গয়না রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৫ হাজার। অন্যদিকে, তাঁর স্বামীর সোনা রয়েছে ৩০ গ্রাম, যার বাজারমূল্য ২ লাখ ১০ হাজার। এছাড়াও অমৃতা দেবীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ লাখ ১৫ হাজার। এবং তাঁর স্বামীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫৪ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৭।